পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ চোখের উপািধ দেখতে পেয়েছি, বিলাসের আর ভয় নেই, তার ਲਲ জন্তে আমূাকে একটি মুহূপ্তের জন্যে ও আর আশঙ্কা করতে চাবে না। ! কিন্তু জিজ্ঞাসা কবি,-এত চিন্তা, এত জ্ঞান, ভবিষ্যৎ-জীবন সফল কোরে তোেলবার এত বড় বুদ্ধি ঐটুকু মাথাব্য মধ্যে এতদিন কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলে মা ? আজি আমি যে একেবারে অবাক হক্স গেছি। বিজয়ার সর্বাঙ্গ চঞ্চল হইয়া উঠিল, কিন্তু সে নিঃশব্দেই বঁসিয়া রহিল। রাসবিহারী ঘড়ির দিকে চাচিয়া চমকিয়া উঠিয়া পড়িয়া বলিলেন, ইস, দশটা ধাজে যে ! একবার দয়ালের স্ট্রীকে দেখতে যেতে হবে যে ! বিজয়া মাস্তে আস্তে জিজ্ঞাসা করিল, এখন তিনি কেমন আছেন ? ভালই আছেন, বলিয়া তিনি দ্বারের দিকে দুই-এক পদ অগ্রসর হইয়া উঠাৎ থামিয়া বলিলেন, কিন্তু আসল কথাটা যে এখনো বলা হয়নি । বলিয়া ফিরিয়া আসিয়া স্বস্থানে উপবেশন করিয়া মুদুস্বরে বলিলেন, তোমার এই পুড়ো কাকাবাবুর একটি <স্তরে তোমাকে রাখতে হবে বিজয়া ! বল রাখবে ? ক্রুিয়া মনে মনে ভীত কষ্টয়া N তাতার মুখের ভাব কটাক্ষে লক্ষ্য করিয়া রাসবিহারী বলিলেন, সে হবে না, সন্তানের এ আবদারটি মাকে রাখতেই হবে। বল রাখবে ? বিজয়ী অস্ফুটম্বরে কহিল, বলুন। তখন রাসবিহারী কহিলেন, সে যে শুধু আচার নিদ্ৰাই পরিত্যাগ করেছে, তাই নয়,-"অনুতাপেও দগ্ধ হয়ে যাচ্ছি জানি ; কিন্তু তোমাকে মা, এ ক্ষেত্রে একটু শক্ত হ’তে হবে । কাল অভিমানে সে আসেনি, কিন্তু আজ আর থাকতে পায়বে ਜ/ਸ পড়বেই ; কিন্তু, ক্ষমা চাইবা