পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिा বিল পিতার সঙ্গে তাহার কত কথা হইয়া গেছে। তাহার সীতড়িল, কত সন্ধ্যায় তিনি ওই ইজি-চেয়ারার উপর বসিয়া দীর্ঘশ্বাস এলিয়া বলিয়াছেন, বিজয়া, আমার দেশের বাড়ীতে কখনও এ-দুঃখ পাইনি। সেখানে কোন হাজরার তেতাল-ছাদেই আমার শেষ সূৰ্য্যাস্তটুকুকে এমন কোরে কোনদিন আড়াল কোরে দাড়ায়নি। তুই তা জানিসনে , কিন্তু আমার যে চোখ-দুটি এই বুকের ভেতর থেকে উকি মেরে চেয়ে আছে, তারা স্পষ্ট দেখতে পাচ্চে, আমাদের ফুল-বাগানের ধারের ছোট্ট নদীটি এতক্ষণ সোণার জলে টলটল ক’রে উঠেচে ; আর তার পর-পারে যতদূর দৃষ্টি যায়, মাঠের পর মাঠের শেষে এখনো সুর্ষ্যি-ঠাকুর যাই যাই করেও গ্রামের মায়া কাটিয়ে যেতে পারেন নি। ঐ ত মা, গলির মোড়ে দেখতে পাচ্চিস, দিনের কাজ শেষ কোরে ঘরপানে মানুষের স্রোত বয়ে যাচ্চে ; কিন্তু, ওই দশবারো হাত জমিটুকু ছাড়া তাদের সঙ্গে যাবার ত আর একটুও পথ নেই। এমনি কোরে এই সন্ধ্যাবেলায় সেখানেও উণ্ট শ্ৰেষ্ঠ ঘরপানে বয়ে যেতে দেখেছি ; কিন্তু তার প্রত্যেক গরুবাছুরটির গোয়াল-ঘরের পরিচয় পূৰ্য্যন্ত জানতুম্ব, মা। শ্ৰলিয়া অকস্মাৎ একটা অতি গভীর শ্বাস হৃদয়ের ভিতর হইতে মোচন করিয়া নীরব হইয়া থাকিতেন। যে গ্রাম একদিন তিনি ত্যাগ করিয়া আসিয়াছিলেন, এত সুখৈশ্বৰ্য্যের মধ্যেও যে তাহারই জন্য, তঁহার ভিতরটা কঁদিতে থাকিত, ইহা যখন-তখন বিজয়া টের পাইত। তথাপি, একটা দিনের জন্যও সৈ ইহার কারণ চিন্তা করিয়া দেখে নাই; কিন্তু আজি বিলাসবাৰু সেই দিকে • তাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া চলিয়া গেলে, পরলোকগত পিতৃদেবের কথাগুলা স্মরণ করিত্বে করিতে ऊँiश्iब्र f ֆ Ֆ