পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰয়োবিংশ পরিচ্ছেদ ঠুকিয়া বলিলেন, কিসের জন্যে আমাকে তুমি ভ}বড় অপমান করতে সাহস কর বিজয়া ? কিসের জন্যে আমাকে তুমি অবিফল হেকর শুনি ? বিজয়া শাস্ত কণ্ঠে কহিল, আমাকেও ত আপনি করেন না ! আমার পয়সায় আমারি উপর গোয়েন্দা নিযুক্ত কুঁৱলে মনের ভাব কি হয়, সে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারেন, এবং তুর পর আমার সম্পত্তির মূল দলিল-পত্র হস্তগত করার তাৎপৰ্য্য যদি আমি আর কিছু ব’লে সন্দেহ করি, সে কি অস্বাভাবিক ? না, সে আপনাকে অপমান করা ? রাসবিহারী একেবারে নির্বাক, স্তম্ভিত হইয়া গেলেন। তঁহার এত বড় পাকা চাল কলিকাতায় বিলাসিতার মধ্যে যত্ন- আদরে প্রতিপালিত একটা অনভিজ্ঞ বালিকার কাছে ধরা পড়িতে পাৰুে, এ সম্ভাবনা তাঙ্গার পাকা মাথায় স্থান পায় নাই ; এবং ইহাই সে মুখের উপর অসঙ্কোচে নালিশ করিবো,-সে তো স্বপ্নের অগোচর । রাসবিহারী অনেকক্ষণ বিমূঢ়ের মত বসিয়া থাকিয়া, আর একবার যুদ্ধের জন্য কোমর বাধিয়া দাড়াইলেন ; এবং এই প্ৰকৃতির লোকের যাহা চরম অস্ত্ৰ, তাহাঁই তুণীর হইতে বাহির করিয়া এই অসহায় বালিকার প্রতি নিৰ্ম্মমভাবে নিক্ষেপ করিলেন। কহিলেন, বনমালীর মুখ রাখবার জন্যেই এ কাজ করেছি। বন্ধুর কৰ্ত্তব্য বলেই তোমার চলাফেরার প্রতি আমাকে নজর রাখতে হয়েচে । একটা অজানা-অচেনা হতভাগাকে মাঠের মধ্যে থেকে ধ’রে এনে যে কাল সমস্ত বেলাটা কাটালে, তার মানে কি আমি বুঝতে পারিনে ? শুধু কি তাই ? সেদিন দুপুর রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত তার সঙ্গে হাসি-তামাসা গল্প করেও তোমার যথেষ্ট হলো না, সে রাত্রে কলকাতায় ফিরতে পালে না, ছল ক’রে তাকে RR (t