পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্কিবংশ পরিচ্ছেদ কিন্তু, দিন পাঁচ-ছয় পরে সে সমস্যার মীমাংসা হইয় গেল পিয়নের হাত দিয়া। চিঠি আসিল বটে, কিন্তু সে ডাকে। নরেন নি:- ফ্লাসিল না। কেন যে আসিল না, তাহা অনুমান করিতে তাহার। মুহূৰ্ত্ত বিলম্ব হইল না। সে ঠিক এই আশঙ্কাই করিতেছিল, পাছে, বুসবিহারী কোন ছলে এ কথা নরেন্দ্রের কর্ণগোচর করিয়া, তাহার এ যুটীর পথ রুদ্ধ করিয়া দেন। চিঠি হাতে করিয়া বিজয়া ভাবিতে লাগিল, কিন্তু, এত সহজেই যদি q BB KK BDBDBB BBuD BDBDB DBuB DBDSBDBDD S DDBBD DLDDDD D এই মিথ্যা কলঙ্কের ডালি একাকী ত্যাগরি মাথায় তুলিয়া দিয়া সভয়ে সরিয়া দাড়ায়, তাহা চইলে এ দুর্নামের বোঝা-তা” সে যত বড় মিথ্যাই হউক, —সে বহিয়া বেড়াইবে কোন অবলম্বনে ? তখন এই মিথ্যা ভারই যে পরম সত্যের মত তাহাকে চক্ষের নিমিযে ধূলিসাৎ করিয়া দিবে। এমনি অভিভূতের মত স্থির হইয়া বসিয়া সে যে কত কি চিন্তা করিতে লাগিল, তাহার সীমা নাই। তাহার পরে বহুক্ষণ পরে সে উঠিয়া দাড়াইল, এবং এইবার তাহার পরলোকগত পিতৃদেবের হাতৃেক্স লেখা কাগজ দু’টি মাথায় চাপিয়া ধরিয়া ঝর-ঝর করিয়া কঁাদিতে লাগিল । বারবার করিয়া চোখ মুছিয়া চিঠি দু’টি পড়িতে গেল, বারবার অশ্রুজিলে দৃষ্টি ঝাপসা হইয়া গেল। অবশেষে অনেক বিলম্বে, অনেক যত্নে যখন পড়া শেষ করিল, পিতার আন্তরিক বাসনা তাহার কাছে আর অবিদিত রহিল না । এক সমরে তিনি যে শুধু তাহারি জন্য নরেন্দ্রকে মানুষ করিয়া তুলিতে চাহিয়াছিলেন, এ সত্য একেবারে স্ফটিকের ন্যায় স্বচ্ছ হইয়া গেল ; এবং এ কথা আর যাহারি অগোচর থাকুক, রাসবিহারীর যে ছিল না, তাহাও বুঝিতে অবশিষ্ট রহিল না। RRS