পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বিংশ পরিচ্ছেদ যাইতেছিল, এ কথা অনুমান করা দয়ালের পক্ষে অসম্ভব। তাই তিনি পুনরায় নিজের মনেই বলিতে লাগিলেন, নরেনের সাহায্যে এর মধ্যেই নলিনী অনেক গুলো বই শেষ ক’রে ফেলেচে। লেখা-পঢ়ায় দুজনেরই बg 'अgद्धां*ों । , অনেকক্ষণ নিঃশব্দে চলার পরে, বিজয়া প্ৰাপপণ চেষ্টায় আপনাকে সংযত করিয়া লইয়া ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসা করিল, আঁপনি কি আর কিছু সন্দেহ করেন না ? দয়াল বিশেষ কোনরূপ বিস্ময় প্রকাশ করিলেন না । সহজভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, কিসের সন্দেহ মা ? এ প্রশ্নের জবাব বিজয়া তৎক্ষণাৎ দিতে পারিপ না । তাহার বুক যেন ভাঙিয়া যাইতে লাগিল। আবার কিছুক্ষণে এই ব্যথা সংবরণ করিয়া লাইগা কছিল, আমার মনে হয়, নলিনীর সম্বন্ধে তঁর মনের ভাব স্পষ্ট কোরে স্বীকার করা উচিত । 彰 দয়াল সায় দিয়া কহিলেন, ঠিক কথা। কিন্তু, তার তা এখনাে সময় যায়নি মা। বরঞ্চ আমার মনে হয়, দু’জনের পরিচয় আরও একটু ঘনিষ্ঠ না হওয়া পৰ্য্যন্ত সহসা কিছু না বলাই উচিত। বিজয়া বুঝিল, এ প্রশ্ন অপরের মনেও উদয় হইয়াছে। ক্ষণাত্তাল মৌন থাকিয়া কহিল, কিন্তু, নলিনীর পক্ষে ত ক্ষতিকর হ’তে পারে। ষ্ঠারু, মুন্ন স্থির কল্পতে হয় তা সময় লাগতে পারে, কিন্তু, ইতিমধ্যে नलिौद्र-- সঙ্কোচ ও বেদনায় কথাটা আর তাহার মুখ দিয়া বাহির হইল না। কিন্তু, দয়াল বােধ করি সমস্যার এই দিকটা তেমন চিন্তা করিয়া দেখেন ২৩৩