পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্কিবংশ পরিচ্ছেদ বাড়ী আসিতেই খবর পাইল, রাসবিহারী কি জন্য সন্ধ্যা হইতে বাহিরের ঘরে অপেক্ষা করিয়া বসিয়া আছেন । শুনিতেই তাহার চিত্ত তিক্ত হইয়া উঠিল, এবং কোন কথা না কহিয়া, પ્રસાર সিঁড়ি দিয়া উপরে নিজের ঘরে চলিয়া গেল। কিন্তু, ইহাও তাহার ক্ষুবিদিত ছিল না যে, শত বিলম্বে ও এই পরম সহিষ্ণু লোকটির ধৈর্য্য ঙি ঘটিবে না । তিনি প্ৰতীক্ষা করিয়া যপন আছেন, তখন, রাত্ৰি যত বেশী হোক, সাক্ষাৎ না। করিয়া কোন মতেই নড়িবেন না । অনতিকাল মধ্যেই দ্বারের উপর দাড়াইয়া পরেশ জানাইয়া দিল যে, বড়বাবু আসিতেছেন, এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাহার চিটিজুতার ও লাঠির শব্দ যুগপৎ শুনিতে পাওয়া গেল। दिग्न श्व्यःि, श्म । ঘরে প্রবেশ করিয়া রাসবিহারী চৌকিতে উপবেশন করিয়া বলিলেন, আমি তাই এতক্ষণ এদের বলছিলাম যে এতগুলো চাকর-বাকরের মধ্যে এ হুস কারও হোলো না যে, বাড়ী থেকে দুটো লণ্ঠন নিয়ে যায় ! দয়ালেরও এ ভয় হওয়া উচিত ছিল যে, মাঠের মধ্যে শুধু জ্যোৎস্নার আলোয় নির্ভর না করে, সঙ্গে একটা আলো দেওয়া ! তাই ভাবি, ভগবান ! এ সংসারে আত্মীয়-পরে কি প্ৰভেদটাই তুমি কোরে রেখেচ ! বলিয়া একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস মোচন করিলেন। কিন্তু, বিজয়ী কিছুই কহিল না"। তখন রাসবিহারী একবার কাশিয়া, একটু ਫੌਜ করিয়া, পকেট হইতে একখানা কাগজ বাহির করিয়া বলিলেন, যা কয়বার সবই আমি কোরে রেখেচি ; শুধু তোমার নামটা একটু লিখে দিতে হবে মা, এটা আবার কালকেই পাঠিয়ে দেওয়া চাই । $ €)ጎ