পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ আমাকে মেয়ের মত ভালবাসেন বলেই এদের পূজা নিষেধ করেছেন ; কিন্তু, আমি বলি, তলই বা তিন-চার দিন একটু গোলমাল- “ কথা শেষ করিতে না দিয়াই বিলাস তেমনি উর্দু-কুণ্ঠে, প্রতিবাদ করিয়া উঠিল—সে ঈসহ গণ্ডগোল! আপনি জানেন না বলেই বিজয়া হাসিমুখে বলিল, ত’ হোক গণ্ডগোল,-তিন দিন বৈ ত নয় । আর আপনি আমার অসুবিধের ভাবনা ভাবচেন-কিন্তু, কলকাতা হ’লে কি করতেন বলুন ত ? সেখানে অষ্ট-প্রহর কেউ কানের পাশে তোপ দাগতে থাকলেও ত চুপ কোরে সহ্য করতে হোতো ? বলিয়া আগস্থক যুবকটির পানে চাহিয়া হাসিয়া কহিল, আপনার মামাকে জানাবেন, তিনি প্ৰতিবার যেমন করেন, এবারেও তেমনি পুজো করুন, আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। আগন্তুক এবং বিলাসবাৰু উভয়েই বিস্ময়ে অবাক হইয়া বিজয়ার মুখের প্রতি চাহিয়া, রঙ্গিল। আঁপান তবে এখন আসুন, বলিয়া বিজয়া হাত, তুলিয়া ক্ষুদ্র একটি নমস্কার করিল। অপরিচিত ভদ্রলোকটিও “আপনাকে সংবরণ করিয়া লইয়া উঠিয়া দাড়াইল, এবং ধন্যবাদ, ও প্ৰতি-নমস্কার করিয়া এবং বিলাসকেও একটি নমস্কার করিয়া ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল । অবশ্য, ক্রুদ্ধ বিলাস আর একদিকে চক্ষু ফিরাইয়া তাহা অগ্ৰাহা করিল ; কিন্তু, দু’জনের কেহই জানিতে পারিল না যে, এই শুপরিচিত যুবকটিই তােহাসের সর্বপ্রধান আসামী জগদীশের পুত্র নরেন্দ্রনাথ। । R