পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g আসিবেনই। কিন্তু দিন বহিয়া যাইতে লাগিল,--না অ্যাসিলেন তিনি, না আসিল তাহার অদ্ভুত ডাক্তার বন্ধুটি । বৃদ্ধ রাসবিহারীয় সহিত দেখা হইলে তিনি, ছেলের সঙ্গে যে ইতিমধ্যে কোন কথা হইয়াছে, তাহার আভাসমাত্র দিলেন না। বরঞ্চ ইঙ্গিতে এই ভাবটাই প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন, যেন সঙ্কল্প একপ্রকার সিদ্ধ হইয়াই গিয়াছে। এই লইয়া যে আর কোন প্রকার আন্দোলন উঠতে পারে, তাহ যেন তঁহার মনেই আসিতে পারে না । বিজয়া নিজেই সঙ্কোচে কথাটা উত্থাপন করিতে পারিল না। অগ্রহায়ণ শেষ হইয়া গেল, পৌষের ঠিক প্রথম দিনটিতেই পিতা-পুত্ৰ একত্র দর্শন দিলেন। রাসবিহারী কহিলেন, মা, আর ত বেণী দিন নেই, এর মধ্যেই তৃত সমস্ত সাজিয়ে-গুছিয়ে তুলতে হবে। বিজয়া সত্য-সত্যই একটু বিস্মিত হইয়া কহিল, তিনি নিজে ইচ্ছে ক'রে চ’লে না গেলে ত কিছুই হ’তে পারে না। বিলাসবিচাৰী মুখ * টিপিয়া ঈষৎ হাস্য করিলেন ;-তাঙ্গার পিতা 'কহিলেন, কার কথা বলৰ্চ মা, জগদীশের ছেলে তা ? সে ত কালই বাড়ী ছেড়ে দিয়েছে। صسسس "" ংবাদটা যথার্থই বিজয়ার বুকের ভিতর পর্য্যন্ত গিয়া আঘাত করিল। সে তৎক্ষণাৎ বিলাসের দিক হইতে এমন করিয়া ফিরিয়া দাড়াইল, যাঙ্গাতে সে কোন মতে না তাহার মুখ দেখিতে পায়। এই ভাবে ক্ষণকাল স্তব্ধ হইয়া, আঘাতটা সামলাইয়া লইয়া, আস্ত আস্তে রাসবিহারীকে জিজ্ঞাসা করিল, তার জিনিষপত্র কি হ’ব ? সমস্ত f গেছেন ? gea