পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ কিন্তু যাহাকে বলিতে হইবে, সে যে নিজের কানেই সমস্ত শুনিতেছে, - তাহাতে লেশমাত্ৰ সন্দেহ নাই। কালিপদ যাইবার উপক্ৰম করিতেছে দেখিয়া, বিজয় তাহকে শান্ত, অথচ দৃঢ়-কণ্ঠে বলিয়া দিল, তুমি শুধু আলো দিয়ে এসে গে, যা” বলাবার, আমি নিজেই বলব। বিলাস শ্লোঘা করিয়া তাহার পিতাকে কহিল, কেন বাবা, তুমি মিথ্যে অপমান হ’তে গেলে ? ওঁর হয় তা এখনো কিছু দেখিয়ে নিতে বাকি আছে । রাসবিহাবী কথা কহিলেন না, কিন্তু ক্ৰোধে বিজয়ার মুখ ব্লাঙী হইয়া উঠিল। বিলাস তাঙ্কা লক্ষ্য করিয়াও বলিয়া ফেলিল, “আমরা ও অনেক ব্লকম মাষ্টক্রিস্কোপ দেখোঁচ, বাবা, কিন্তু, চো হে ক’রে হাসবার বিষয় কপনো ফোনটার মধ্যে পাই নি । কাল খাওয়ানোর কথাও সে জানিতে পারি,াছিল, আজ উচ্চহাস্য ও সে স্বকৰ্ণে শুনিয়াছিল । বিজয়ার আঙ্কিার বেশভূষার পরিপাট্যও তাঙ্গার দৃষ্টি এড়ায় নাই। ঈর্ষার বিযে এস এমনি জলিয়া মািরতেছিল যে, তাঙ্গার আর দিগ্বিদিক্‌ জ্ঞান ছিল না । বিজয়া তাঙ্গার দিকে সম্পূর্ণ পিছন ফিরিয়া রাসবিহারীকে কহিল, আমার সঙ্গে কি আপনার কোন বিশেষ কথা আছে কাকা-বাবু? রাসবিহারী অলক্ষ্যে পুত্রের প্রতি একটা ক্রুদ্ধ কটাক্ষ হানিয়া মিঞ্চকণ্ঠে বিজয়াকে কহিলেন, কথা আছে বৈ কি মা । কিন্তু, তার জন্যে ठांफुांङांख्रि कि ? একটু থামিয়া কহিলেন, আত্ম-ভেবে দেখলাম, ওঁকে কথা যখন দিয়েচ, তখন, যাই হোক্স, সেটা নিতে হবে বৈ কি। দুশ টাকা বেশি Fdd