পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

而芭协 না, কথাটার দাম বেশি ! তা’ না হয়, ওঁকে কাল একবার এসে টাকাটা নিয়ে যেতে ল’লে দিক নামা ? * বিজয়া এ প্রশ্নের জবাব না দিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ আপনার সঙ্গে কি কাল কথা হ’তে পারে না কাকা-বাৰু? T - রাসবিহারী একটু বিস্মিত হইয়া বলিলেন, কেন, মা ? বিজয়া মুহূৰ্ত্তকাল স্থির থাকিয়া, দ্বিধা-সঙ্কোচ সকলে বর্জন করিয়া কহিল, ওঁর রাত হয়ে যাচ্চে,-আবার অনেক দূর যেতে হবে । ওঁর সঙ্গে আমার কিছু আলোচনা করবার আছে। তাহার এই স্পৰ্দ্ধিত প্ৰকাশ্যতায় বৃদ্ধ মনে মনে স্তম্ভিত হইয়া গেলেও বাহিরে তাহার লেশমাএ প্রকাশ পাইতে দিলেন না । চাহিয়া দেখিলেন, পুত্রের ক্ষুদ্র চক্ষু দুটি অন্ধকারে হিংস্ৰ শ্বাপদের মত ঝাঁক-ঝকা করিতেছে, এবং কি একটা সে বুলিবার চেষ্টায় যেন যুদ্ধ করিতেছে ধূৰ্ত্ত রাসবিহারী অবস্থাটা চক্ষের নিমিষে বুঝিয়া লইয়া তাহাকে কটাক্ষে নিবারণ করিয়া প্ৰফুল্ল চ্যাসিমুখে কহিলেন, বেশ ত মা, আমি কাল সকালেই আবার আস্{ । বিলাস, অন্ধকার হয়ে আসাচে বাবা, চল, আমরা যাই, --বলিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন, ঐবং ছেলের বাহুতে একটু মৃদু আকর্ষণ দিয়া তাহার অবরুদ্ধ দুৰ্দাম ক্ৰোধ ফাটিয়া বাহির হইবার পূর্বেই সঙ্গে করিয়া বাহির হইয়া গেলেন। বিজয়া সেই অবধি বিলাসের প্রতি একেবারেই চাহে নাই । সুতরাং তোহার মুখের ভাব ও চোখের চাহনি স্বচক্ষে দেখিতে না পাইলেও মনে মনে সমস্ত অনুভব করিয়া অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত কাঠের মত দাড়াইয়া রহিল । GR