পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দলপতি -আমি এখানে এসেছিলুম এই কথাই বলবেন, তাছাড়া আর কি । তাহ’লে আমি উঠি আজ । নমস্কার। গদাধর সিড়ি দিয়া নামিবার সময়, এবারও শোভা সিড়ির মুখে আসিয়া দাড়াইল। দরজা দিয়া বাহির হইবার সময় গদাধর দৈবাৎ একবার উপরের দিকে চাহিতেই শোভার সঙ্গে চোখোচোখি হইয়া গেল। গদাধর ভদ্রলোক, লজ্জিত হইলেন। অমনভাবে চাওয়া উচিত হয় নাই। কি উনি মনে করিলেন ? মেয়েটি অদ্ভুত ! কাল বলিয়া দিল টাকা আনিতে, অথচ আজ কিছুতেই লইতে চাহিল না ! টাকা এভাবে কে ফিরাইয়া দেয় আজকালকার বাজারে ? বিশেষ তিনি যখন যাচিয়াই দিতে গিয়াছিলেন । সেদিন সারাদিন আড়তের কাজকৰ্ম্মের ফাঁকে মেয়েটির মুখ কিছুতেই মন হইতে দূর করতে পারিলেন না। সেই সদ্যস্নাতা মূৰ্ত্তি, হাসি-হাসি সুন্দর মুখ, দয়ার্ক্স ডাগর চোখ দুটি । ছবির সেই বধূ-কমলা । বৈকালে চা ও লুচি খাইতে দিয়া অনঙ্গ বলিল-হঁ্যা গো, নিৰ্ম্মলঠাকুরপো কোথায় ? -কেন ? কি হয়েচে বলে তো ? -সুধা আমায় একখানা চিঠি লিখেচে-তাতে সে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েচে, লিখচোঁ! নিৰ্ম্মল-ঠাকুরপোর কোনো পাত্তা নেই-এতদিন of RC sci. Şර්