পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দন্থপতি পারিলেন না। সাত-পাঁচ ভাবিয়া ঠিক করিলেন, মেয়েটির সঙ্গে নিজেই একবার দেখা করিবেন। চিঠিতে ঠিকানা লেখা ছিল, ভড়ামশায় একদিন ভয়ে-ভয়ে গিয়া দরজায় কড়া নাড়িলেন। চাকর আসিয়া দরজা খুলিয়াই বলিল-ও, তুমি আড়াতের লোক ? ভড়ামশায় বলিলেন-হঁ্যা । -মাইজি ওপরে আছেন, এসো। ভড়ামশায় কিছু বুঝিতে পারিলেন না-এ চাকরীটি কি করিয়া জানিল, তিনি আড়াতের লোক ? উপরে যে-ঘরে চাকরীটি তঁহাকে লইয়া গেল, সে ঘরে একটি সুন্দরী মেয়ে চেয়ারে হেলান দিয়া বসিয়া অন্য-একটি মেয়ের সহিত গল্প করিতেছিল-দেখিয়া ভড়ামশায় একটু সঙ্কুচিত হইয়া পড়িলেন। তিনি দরজা হইতে সরিয়া যাইতেছিলেন, মেয়েটি বলিল-কে ? ভড়ামশায় বিনয়ে ও সঙ্কোচে গলিয়া বলিলেন---এই--আমিচাকর পিছন হইতে বলিল-আড়াতের লোক । মেয়েটি বলিল-ও, আড়াতের লোক ! তা তোমাকে ডেকেছিলাম কেন জানে-এবার ওরকম চাল দিয়েচো কেন ? ও চাল তুমি ফেরত নিয়ে যাও এবার-আর এক মণ কাটারিভোগ পাঠিয়ে দিও ཝ་ཕfམེམས་ཐུ་མ་《ཧ། ༈ ভড়ামশায় ভয়ে-ভয়ে বলিলেন, তিনি চালের আড়ত হইতে আসেন। নাই, গদাধর বসুর গদি হইতে আসিয়াছেন। মেয়েটি কিছুক্ষণ তঁহার দিকে চাহিয়া হাসিয়া ফেলিল, বলিল So