পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দন্থপতি এইসময় ভড়ামশায় একটা মোটা অর্ডার পাইলেন মিল হইতে --মাল যোগান দিতে পারিলে দু’পয়সা লাভ হইবে-কিন্তু টাকা নাই। ভড়ামশায় নানাদিকে বহু চেষ্টা করিয়া অকৃতকাৰ্য্য হইয়া শেষে অনঙ্গর সঙ্গে পরামর্শ করিতে গেলেন। গত চার পাঁচ মাস তিনি অনঙ্গকে জিজ্ঞাসা না করিয়া, তাহার সহিত পরামর্শ না করিয়া কোনো কাজ করেন না । অনঙ্গ যে এত ভালো ব্যবসা বোঝে, ভড়ামশায় দেখিয়া বিস্মিত হইয়াছেন। বৌঠাকরুণের প্রতি তাহার শ্রদ্ধা বাড়িয়া উঠিয়াছে। অনঙ্গ শুনিয়া বলিল-ব্যাঙ্ক থেকে কিছু নেওয়া চলবে না ? --তা হবে না বৌ-ঠাকরুণ, অনেক নেওয়া আছে, আর দেবে না । --মোকাম থেকে পাট আনিয়ে নিন, আর আমার গহনা যা আছে বিক্রি করুন ! --তোমার যা গহনা এখনও আছে, বৌ-ঠাকরুণ, তাতে আর আমি হাত দিতে চাইনে। পাটের ব্যবসা-জুয়ো খেলা, হেরে গেলে তোমার গহনাগুলো যাবে । কিন্তু অনঙ্গ শুনিল না। সেও নিতান্ত ভীতু-ধরণের মেয়ে নয়, এখন তাহার পিতৃবংশে যদিও কেহই নাই।--কেবল এক বখাটে ভাই ছাড়া । একসময়ে তাহার বাবাও বড় ব্যবসায়ী ছিলেন-ব্যবসাদারের দিল আছে তাহার মধ্যে । সে জোর করিয়া গহনা বিক্রয় করাইয়া সেই টাকায় মালের যোগান দিল। কিছু টাকা লাভও হইল । 7