পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Frus -টােকা তুমি দেবে না। অনঙ্গ ? লক্ষনীটি, বডড বিপদে পড়েচি। একটা মেসিনের কিস্তির টাকা কাল দিতে হবে, নইলে তারা মেসিন উঠিয়ে নিয়ে যাবে-টুডিওর কাজ বন্ধ হয়ে যাবে তাহ’লে। লক্ষনীট, অমত করো না । বড় আশা ক’রে এসেচি। গদাধরের চোখে মিনতির দৃষ্টি ! অনঙ্গর মন এতটুকু দমিত না, বা টলিত না, যদি স্বামী তস্বি-গম্বি করিত বা রাগাকাল দেখাইত । কিন্তু স্বামীর অসহায় মিনতির দৃষ্টি তাহার মতিভ্ৰম ঘটাইল। সে নিজেকে দৃঢ় রাখিতে পারিল না। গদাধর টাকা আদায় করিয়া চলিয়া গেলেন । এই টাকা দেওয়ার মুহূৰ্ত্তের দুর্বলতার জন্য অনঙ্গকে পরে যথেষ্ট কষ্ট সহ্য করিতে হইয়াছিল। মাসখানেক পরে আন্দালতের বেলিফ, আসিয়া বাড়ী শিল করিয়া গেল। বন্ধকী বাড়ী পাছে বেনামী বা হস্তান্তর হয়, তাই মহাজন ডিগ্রীর আগেই বাড়ী কোর্ট হইতে আটক রাখিবার ব্যবস্থা করিয়াছে। গদাধরের অবস্থা যে কত খারাপ হইয়া পড়িয়াছে, ভড়ামশায় তাহা ইদানীং বেশ ভালো করিয়াই জানিতে পারিয়াছিলেন । আড়াতের ঠিকানায় বহু পাওনাদার আসিয়া জুটিতে লাগিল। ভড়ামশায় পাকা লোক-তাহদের ভাগাইয়া দিলেন। এ ফাৰ্ম্মের সঙ্গে ও-সব দেনার সম্বন্ধ কি ? অনেকে শাসাইয়া চলিয়া গেল । কিন্তু যেদিন খবর পাওয়া গেল যে, আদালতের বেলিফা বাড়ী শিল করিবে, সেদিন ভড়ামশায় অনঙ্গকে গিয়া সব খুলিয়া বলিলেন। অনঙ্গ বলিল-আমাদের কি উপায় হবে ? Ye