পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ཨfརྒྱ་ —তাহ’লে বাবু আর-একটু বসতে হয়। ক্যাশ বন্ধ করি এবার, भिलिटुश्न छेि । --বসি । -বাবু, ওবেলা ও আট আনা হাওলাত কার নামে লিখবো ? -ও যা হয় করুন, ঢুলি-খরচ ব’লে লিখুন না ? ঢোল সহরিৎ তো করতেই হবে-আজি না হয় কাল ! -আর, এবেলার এই এক টাকা ? -কোন এক টাকা ? -এই যে সাধু নিয়ে গেল! -ও ! ওটা আমার নামে খরচ লিখুন। ব্যাটা আচ্ছা ধাপ্লাবাজি ক'রে টাকাটা নিয়ে গেল! -ওইজন্যেই আংটি খুলতে বলেছিল বাবু, এইবার বোঝা যাচ্চে। --সেই তো। কারণ, সোনা তো আংটিতে রয়েচে, আবার চাদি। কি হবে। যদি বলি ? আংটি তো আর আঙুল থেকে টেনে খুলে নিয়ে সটকান দেওয়া যায় না! ডাকাত একেবারে! ওদের কথা সব মিথ্যে ! কথাগুলা গদাধর যেরূপ জোর দিয়া বলিলেন, তাহাতে মনে হইল, তিনি তাহার বোকামির জন্য নিজে যেমন- লজ্জিত হইয়াছেন, সাধু সম্বন্ধে ভড় মহাশয়ের নিকট হইতেও সেইরূপ কটুক্তি শুনিতে পাইলে যেন কিছুটা আশ্বস্ত হন। ভড় মহাশয় কিন্তু দেবদ্বিজে অসাধারণ ভক্তিমান বৃদ্ধ ব্যক্তি। মন্নিবের মন যোগাইবার জন্যও তিনি সাধুর প্রতি অবিশ্বাসসূচক কোন কথা বলিতে রাজী নন। সুতরাং তিনি চুপ করিয়াই রহিলেন।