পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দািখগতি হঠাৎ আজ হয়তো আসিয়া পড়িবেন। কিন্তু তাহার সে আশা পূর্ণ श् बांझे । ভড়ামশায় আসিয়া বলেন,-বৌ-ঠাকরুণ, টাকা দিতে হবে। -ক’ত ? -ছত্ৰিশ টাকা দাও। আজ, পাট আর আসচে না হাটে ! ওতেই কাজ চলে যাবে । সন্ধ্যাবেলা লাভের দু’তিন টাকা-সুদ্ধ টাকাটা আবার ফিরাইয়া দিয়া যান। একদিন শশী বাগদিনী অনঙ্গকে পরামর্শ দিল-হলুদের গুড়োর ব্যবসা করিতে। উহাতে খুব লাভ, আস্ত হলুদ বাজার হইতে কিনিয়া বাগদি-পাড়ায় দিলে, তাহাদের ঢেঁকিতে তাহারাই কুটিয়া দিবে। —মজুরী বাদেও যাহা থাকে, তাহ অনঙ্গ হিসাব করিয়া দেখিল নিতান্ত মন্দ নয়। আজকাল সে ব্যবসা বুঝিতে পারে, ব্যবসার বুদ্ধি খুলিয়া গিয়াছে। ভড়ামশায়কে কথাটা বলিতে তিনি হাসিয়া উড়াইয়া দিলেন । --হুঃ --ফুঃ ! গুড়ো হলদির আবার ব্যবসা ? অনঙ্গ বলিল-না ভড়ামশায়, আমি হিসেব ক’রে দেখেচি-আপনি আমায় হলুদ কিনে দিনদ্দিকি, আমি বাগদি-পাড়া থেকে কুটিয়ে আনিদু'তিনবার হলুদের গুড়ো কেনাবেচা করিয়া দেখা গেল, পাটের খুচরো কেনাবেচার চেয়েও ইহাতে লাভের অঙ্ক বেশি। আর একটা সুবিধা, এ-ব্যবসা বারোমাস চলিবে। বৌ-ঠাকরুণের বুদ্ধির উপর ভড়ামশায়ের শ্রদ্ধা জন্মাইল। টাকা বসিয়া থাকে না, অনঙ্গ নানা বুদ্ধি করিয়া এটা-ওটার ব্যবসায়ে খাটাইয়া যতই সামান্য হউক, তবুও কিছু কিছু আয় করে। কিন্তু বর্ষার শেষে ম্যালেরিয়া নিজমুক্তি ধরিয়াছে। እ ዓ ¢