পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিয়া হাত গুটািইয়াছিল। মুখের দু’পাশের ভাত ক্ষিপ্ৰহস্তে মুছিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিয়া বলিল-মা'র জ্বর। আমরা কাল রাত্রে কিছু খাইনি, তাই পলুকে ভাত বেড়ে দিচ্চি। মা কাল বলেছিল, হাড়ি থেকে নিয়ে খেতে । সে এমন ভাব দেখাইল যে, শুধু ছোট ভায়ের ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্যই তাহার এই নিঃস্বাৰ্থ প্ৰচেষ্টা । তাহার খাওয়ার উপর বিশেষ কোনো অস্পৃহা নাই। --বলো কি খোকা । জ্বর তোমার মা’র ? কোথায় তিনি ? খোকা আঙুল দিয়া দেখাইয়া বলিল-বিছানায় শুয়ে। কথা বলচে না কিছু-এত ক’রে বললাম, আমি নুন পাড়তে পারিনে, পলুকে কি দেবো, তা মা ভড়ামশায় ভীত হইয়া ঘরের মধ্যে গিয়া উকি মারিলেন। অনঙ্গ জ্বরের ঘোরে অভিভূত অবস্থায় পড়িয়া আছে, তাহার কোনো সাড়াসংজ্ঞা নাই-লেপখানা গা হইতে খুলিয়া একদিকে বিছানার বাহিরে অৰ্দ্ধেক বুলিতেছে! ভড়ামশায় ডাকিলেন-ও বৌ-ঠাকরুণ! বৌ-ঠাকরুণ ! অনঙ্গ কোন সাড়া দিল না । --কি সর্বনাশ! এমন কাণ্ড হয়েচে তা কি জানি ? ও বৌ-ঠাকরুণ! দু’তিনবার ডাকাডাকি করার পরে অনঙ্গ জ্বরের ঘোরে-“আঁ্যা’- করিয়া সাড়া দিল । সে সাড়ার কোনো অর্থ নাই । তাহা অচেতন মনের বহুদিনব্যাপী অভ্যাসের প্রতিক্রিয়া মাত্র। তাহার পিছনে বুদ্ধি मांदे’5उद्य नाई। R.