পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

མ་ ভড়ামশায় মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন। আজ এক বৎসরের বহু কষ্টে সঞ্চয়-করা যৎসামান্য পুজি যাহা ছিল, কোনোরকমে তাহাতে হাত-ফেরতা খুচরা ব্যবসা চালাইয়া সংসারযাত্ৰা নিৰ্বাহ হইতেছিল । অবলম্বনহীন, সম্পূর্ণ অসহায় অবস্থায় এখন ইহাদের কি উপায় দাডাইবে ? ভড়ামশায় জিজ্ঞাসা করিলেন-বাড়ীতে কে-কে আসতো ? অনঙ্গ বিশেষ কিছু জানে না। তাহার মনে নাই। জ্বরের ঘোরে সে রোগের প্রথমদিকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়িয়া থাকিস্ত-কে আসিয়াছে, গি থাছে, তাহার খেয়াল ছিল না। প্ৰতিবেশিনীরা মাঝে-মাঝে তাহাকে দেখি৩ে আসিত-শচীনের মা একদিন না। দুদিন আসিয়াছিলেন, স্বর্ণ গোয়ালিনী একদিন আসিয়াছিল মনে আছে।--আর আসিয়াছিলেন, মুখুয্যে-গিন্নী। তবে ইহাদের বেশির ভাগই অশুচি হইবার ভয়ে রোগীর ঘরের মধ্যে ঢোকেন নাই, দোরে দাড়াইয়া উকি মারিয়া দেখিয়া, ডিঙাইয়া-ডিঙাইয়া উঠান পার হইয়া গিয়াছিলেন। ইহার একটি ন্যায্য কারণ যে না ছিল তাহা নয়। বাড়ীর ছেলে দুটি মায়ের শাসনদৃষ্টি শিথিল হওয়ায় মনের আনন্দে যেখানে-সেখানে ভাত ছড়াইয়াছে, এ টো থালাবাসন রাখিয়াছে, যাহা খুশি তাহাই করিয়াছে -সেখানে কোনো জাতিজন্মবিশিষ্ট হিন্দুর ঘরের মেয়ে কি করিয়া নির্বিবকারমানে বিচরণ করিতে পারে, ইহাও ভাবিয়া দেখিবার বিষয়। শুধু লোকের নিন্দা করিয়া লাভ নাই। চুরির কোনো হদিস মিলিল না। উপরন্তু অনঙ্গ বলিল