পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tumefrs জঙ্গলে একটি প্রজাপতি ঘুরিতেছে, খোকার বাজনার টিনটিা কৃয়াতলায় গড়াগড়ি যাইতেছে, পাশের জমিতে শচীনের সেওড়াতলী আমগাছটার মগডালের দিকে রোদ উঠিতেছে ক্ৰমশঃ, নাইবার চাতালে গতি-বর্ষায় বন-বিছুটির গাছ গজাইয়াছে—অনেকদিন আগে গদাধর কুয়াতলায় বসিয়া সুস্থানের জন্য সখা করিয়া একটি জলচৌকি গড়াইয়াছিলেনসেখানা একখানা পায়া ভাঙা অবস্থায় কাঠ রাখিবার চালাঘরের সামনে চিৎ হইয়া পড়িয়া আছে। তাহার বুকের মধ্যে কেমন করিয়া উঠিল। বড়খোকাকে ডাকিয়া বলিল-হঁ্যারে, ও চৌকিখানা ওখানে অমন ক’রে ফেলেছে কে রে ? খোকা এদিকে-ওদিকে চাহিতে-চাহিতে জলচৌকিখানা দেখিতে পাইল । বলিল-আমি জানিনে তো মা ! আমি ফেলিনি । -যেই ফেলুক, তুই নিয়ে এসে দালানের কোণে রেখে দে। কেউ না ওতে হাত দেয় । তারপর সে আবার দুর্বলভাবে বালিশে ঢলিয়া পড়ে। মনেও বল নাই, হাতে-পায়েও জোর নাই যেন । তাহার ভালো লাগে না, এক-একা এ বাড়ীতে সে থাকিতে পারে না। জীবন যেন তাহার বোঝা হইয়া পড়িয়াছে, বিশেষ করিয়া এই শীতের সন্ধ্যাবেলা মনের মধ্যে কেমন হু হু করে! সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গী! কেহ নাই যে, একটি কথা বলিয়া আদর করে, মুখের দিকে চায়। কত কথা মনে পড়ে—এমনি কত শীতের ঠাণ্ড-রোদ সেওড়াতলী আমগাছটার মগড়ালে উঠিয়া গিয়াছে আজ চৌদ্দ বছর ধরিয়া, চৌদ্দ বছর আগে এমনি এক শীতের মধ্যাহ্নে সে নববধূরূপে এ-গৃহে প্রথম প্রবেশ করে। ওই অতি Σ ένα