পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দম্পতি রাস্তায় পড়িয়া পথ হঁটিতে-হাঁটিতে কিন্তু ভড়ামশায়ের মনে আনন্দের ভাবটা আর রহিল না। মনিব জেলে যান নাই-আবার সেই ছবি-তোলার কাজই করিতেছেন, অথচ এই এক বৎসরের মধ্যে একবার স্ত্রীপুত্রের খোঁজ-খবর করেন নাই, এ কেমন কথা ? এস্থলে আনন্দ করিবার মত কিছু নাই, বরং ইহার মূলে কি রহিয়াছে, তাহা দেখিয়া যাওয়াটা দরকার। ভড়ামশায়ের মন বেশ দমিয়া গেল ! দমিয়া গেলেও, সেই মন লইয়াই অগত্য পথ চলিতে-চলিতে একসময় তিনি ট্রামে উঠিয়া পড়িলেন। ট্রাম যথাসময়ে টালিগঞ্জ-ডিপোয় আসিয়া পৌছিল। অন্যান্য সহযাত্রীরা একে-একে নামিয়া যাইতেছে দেখিয়া ভড়মশায়ের হুহঁসি হইল, তঁহাকেও এবার নামিতে হইবে। ভড়ামশায় ট্রাম হইতে রাস্তায় নামিয়া আবার হঁটিতে সুরু করিলেন । মেয়েটির নির্দেশমত বঁ-দিকের পথ ধরিয়াহঁাটিবার সময় দেখিলেন, ভিন্ন-ভিন্ন ছোট-ছোট দল যে সব কথাবাৰ্ত্ত কহিতে্যু-কহিতে চলিয়াছে ঐ পথে, তাহদের মৃদুগুঞ্জনে বেশ বুঝা যাইতেছে যে, তাহারা সকলেই এখন ভড়ামশায়ের লক্ষ্য-পথের পথিক। যে কোনো কাজের জন্যই যাক না কেন, তাহারাও চলিয়াছে ঐ স্টুডিওর উদ্দেশে। কিছু পথ যাইতেই চােখে পড়িল, সামনে অনেকখানি জায়গা করোগেট টিন দিয়া ঘেরা মস্ত বাগান, আর সেই বাগানের কাছে পৌঁছিয়াই তিনি নিশ্চিত বুঝিলেন যে, তাহার ঈপ্সিত স্থানে আসিয়া গিয়াছেন। ঐ বাগানের ফটক। ফটকের দুইদিকে থামের মাথায় অৰ্দ্ধবৃত্তাকারে লোহার ফ্রেমে সোনালী-অক্ষরে জ্বলজ্বল করিতেছে‘ন্যাশনাল ফিল্ম ষ্টুডিও'1 ぬbra