পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দলপতি নিৰ্ম্মলের ব্যাপার লইয়া সেদিন ভড়ামশায় আড়াতেও গদাধরকে দু’একটা কথা বলিয়াছিল। গদাধর জেদী লোক-যাহাকে লইয়া ঘরে-বাইরে তঁার উৎপীড়ন, তাহাকে তিনি কখনই ত্যাগ করিতে পারেন না-করিবেনও না । আসলে নিৰ্ম্মল মুখুয্যে এ-গ্রামের ৬/হরি গাঙ্গুলির জামাই। শ্বশুর-কুল নিৰ্ম্মল হওয়াতে বৰ্তমানে শ্বশুরের সম্পত্তি উত্তরাধিকারসূত্রে ভোগদখল করিতেছে। লোকটি সর্বদাই অভাবগ্ৰস্ত, এ-কথাও ঠিককারণ, আয়ের অনুপাতে তাহার ব্যয় বেশি। নিৰ্ম্মল মুখুয্যে আসিয়া বাহির হইতে হাকিল-গদাধর, আছে। না কি হে ! আসিবো ? গদাধর উত্তর দিবার পূর্বেই অনঙ্গ বলিল-উত্তর দাও তো দেখিয়ে দেবো মজা ! গদাধর হাসিয়া ফেলিলেন। বলিলেন-তোমার সব-তাতেই ভয় ! জবাব দিলে আমাকে খেয়ে ফেলবে না তো ! দৃঢ় চাপা-কণ্ঠে অনঙ্গ বলিল-না। -ভদ্রলোকের ছেলে বাড়ীতে এসেছে। • • -আসুক । ইহাদের কথা শেষ হইবার পূর্বেই নিৰ্ম্মল মুখুয্যে একেবারে ঘরের দোরের কাছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আসিয়া পড়িল । --কি গো বৌ-ঠাকরুণ, আমাদের বাড়ী যাওয়া একেবারে ছেড়ে দিলে যে-রাগ করলে না কি গরীবদের ওপর ? অনঙ্গ নিৰ্ম্মলের কথার ভাবে হাসিয়া বলিল-কেন, রাগ করবো কেন ?