পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দন্থপতি বলিয়া স্বামীর মুখের দিকে কৌতুকোজ্জ্বল হাসিমুখে চাহিতেই গদাধর বুঝিলেন, স্ত্রীর কথা সর্বৈব মিথ্যা। স্ত্রীর এই বিশেষ ভঙ্গিটি তিনি আজ তেরো বৎসর ধরিয়া দেখিয়া আসিতেছেনকৌতুক করিয়া মিথ্যা বলিবার পরে এই ভঙ্গিটি করিয়াই অনঙ্গ নিজের মিথ্যা নিজে ধরাইয়া আসিতেছে চিরকাল-অথচ খুব সস্তব সে নিজে তাহা বুঝিতে পারে না। গদাধর হাসিয়া বলিলেন-ভালোই তো । আমি কি বারণ করেচি ? --না গো না। আজ শিবুর মাকে রাত্রে এখানে খেতে বলেচি। আহা, বুড়ীর বড় কষ্ট! ছেলেটা অমনি হলো, ভাইবউয়ের যা মুখ-ঝংকার! ক্ষুরে নমস্কার, বাবা! বুড়ীকে দাঁতে পিষতে শুধু বাকি রেখেচে ! না দেয় দুটাে ভালো ক’রে খেতে, না দেয় পরনে একখানা ভালো কাপড়-কি ক’রে যে মানুষ অমান পাৱে ! STBS SBSDBDDSDBBSS S EDLD DS BDD BDBB বললে না কেন ? একদিনের জন্যে যখন খাওয়াবে, তখন একটু ভালো করেই খাওয়াতে হয়। রাধানগর থেকে সন্দেশ মিষ্টি আনিয়ে দিতাম-হলো-বা একটু দই -দই ঘরে পেতেছি। খাসা দই হয়েছে। খেও একটু পাতে দেবো-এখন। মিষ্টি তো পেলাম না-নারকোলের সঙ্গে ক্ষীর মিশিয়ে সন্দেশ করবো, ভাবচি। —এখনও করবে, ভাবচো ? কত রাত্রে বুড়ীকে খেতে দেবে ? R