পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

རྒྱ་ নিৰ্ম্মল ইহার বেশি কাজ জোগাড় করিতে পারে নাই-সে যত বলিয়াছিল, তাহার অৰ্দ্ধেক কাজও পাওয়া যায় নাই । নিৰ্ম্মল নিজেও সেজন্য খুব লজ্জিত। কথাটা অবশ্য গদাধর কাহাকেও বলেন নাই-নিৰ্ম্মল বন্ধুলোক, সে যদি চেষ্টা করিয়াও কাজ না পাইয়া থাকে। তবে তাহার আর দোষ কি ? কিন্তু চতুর ভড়ামশায় একদিন কথায়-কথায় জিজ্ঞাসা করিলেনবাবু, একটা কথা বলবো, ভাবচি। যদি কিছু মনে না করেন তো বলি। -হ্যা, হ্যা, কি, বলুন ? --নিৰ্ম্মলবাবুকে কি কিছু টাকা দিয়েছিলেন, ডিষ্টিষ্ট বোর্ডের কাজের জন্যে ? --না, কে বললে ? -আমি এমনি জিগ্যেসূ করাচি বাবু। তাহলে কথাটা সত্যি নয় ? যাক, তবে আর ও-কথার দরকার নেই। গদাধর চাহেন না, ইহা লইয়া নিৰ্ম্মলকে কেহ কিছু বলে। এ-কথা শুনিলে অনেকে অনেক রকম কথা বলিবে, তিনি জানেন-সুতরাং এ-বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য না করিয়া তিনি অন্য কথা পাড়িলেন । ভড়মহাশয়ও নিজের হিসাবের খাতায় মনোনিবেশ করিলেন। গদাধর অভাবগ্ৰস্ত লোক হইলে হয়তো এ-সব কথায় তাহার খাটুকা লাগিতা। কিন্তু ঈশ্বর-ইচ্ছায় এই পল্লীগ্রামে বসিয়া ভঁাহার মাসে চারপাঁচশো টাকা আয় । পল্লীগ্রামের পক্ষে এ-আয় কম নয় । সংসারে খরচও এমন কিছু বেশি নয়-কিছু দান-ধ্যানও আছে। টাকার যে মূল্য অপরে দিয়া থাকে, গদাধরের কাছে টাকার হয়তো তত মূল্য নাই! Šንታ”