পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

མfརྒྱ་ গদাধর বাড়ী ফিরিবার পথে ভাবিলেন, যদি শালাটি বাড়ীতে থাকে, তবে তো মুস্কিল! বড় শালাটি তঁহার আসে বটে, কিন্তু গদাধরের সঙ্গে তাহার তত সপ্তাব নাই। থাকিলেই আতিথ্যের খাতিরে কথাবাৰ্ত্তা বলিতে হইবে।--কিন্তু তিনি সেটা অস্ত্রীতিকর কৰ্ত্তব্য বলিয়া মনে করেন। তার চেয়ে নিৰ্ম্মলের বাড়ী বেড়াইয়া একটু রাত করিয়া ফেরা ভালো । নিৰ্ম্মল বলিল-কি ভাই, বড় ভাগ্যি যে আবার তুমি এসেছে ! -একটু দাবা খেলবে ? --খেলো । চা খাবে ? --নিশ্চয়ই । চা খাবো না কি-রকম ? নিৰ্ম্মলের অবস্থা ভালো নয়। পাচিল-ঘেরা উঠানের তিনদিকে তিনখানি খড়ের ঘর, একখানি ছোট রান্নাঘর---পিছন দিকে পাতকুয়া ও গোয়াল। ঘরে আসবাবপত্রের অবস্থা হীন, তক্তাপোষের উপর ময়লা কঁথাপাতা বিছানা । এতখানি রাত হইয়া গিয়াছে অথচ এখনও বিছানা কেহ পাট করিয়া পাতে নাই- সকালবেলার দিকে যে লেপখানা উল্টাইয়া ফেলিয়া বিছানা ছাড়িয়া লোক উঠিয়া গিয়াছেসেখান এত রাত পৰ্য্যন্ত সেই একই অবস্থায় পড়িয়া। ইহাতে আরও মনে হয়, বাড়ীর মেয়েরা, বিশেষ গৃহকত্রী অগোছালো। গদাধরকে সেই তক্তাপোষেরই একপাশে বসিতে হইল । নিৰ্ম্মল বলিল-ওহে, একটা কথা শুনেচে ? মঙ্গলগঞ্জের কুঠীবাড়ী বিক্রি হচ্ছে ! 8t