পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

མfརྩེ་ সুধা একসময়ে হয়তো দেখিতে মন্দ ছিল না-বৰ্ত্তমানে সংসারের অনটনে ও খাটাখাটুনিতে, তার উপর বৎসরে-বৎসরে সন্তান-প্রসবের ফলে যৌবনের লাবণ্য ঝরিয়া গিয়া দেহের গড়ন পাকসিটে ও মুখশ্ৰী প্রৌঢ়ার মত দেখিতে হইয়াছে—যদিও সুধার বয়স এই ত্ৰিশ । সুধা হাসিয়া বলিল-কখন যাই বলুন ? সংসারের কাজ নিয়ে সকাল থেকে সন্দে পৰ্য্যন্ত নিশ্বাস ফেলতে পারিনে। শাশুড়ী মরে গিয়ে অবধি দেখবার লোক নেই। আর কেউ। আপনার বন্ধুটি তো উকি মেরে দেখেন না, সংসারের কেউ বঁাচলে না মোলো । এত রাত হয়ে গেল-এখনও রান্না চড়াতে পারিনি, বিছানা গোছ করতে পারিনি। আপনি এই বিছানাতেই বসেচেন ! আমার কেমন লজিজা করাচে । --না, না, তাতে কি, বেশ আছি । -মুড়ি এনেছি, কিন্তু আপনার জন্যে নয়-ওঁর জন্যে। আপনি কি তেল-মাখা মুড়ি খাবেন ? --কেনি খাবো না ? আমি কি নবাব খানজা খা এলাম নাকি ? বৌ-ঠাকরুণ দেখছি হাসালে। --তা নয়, একদিন মুড়ি খাইয়ে শরীর খারাপ করিয়ে দিলে, অনঙ্গ-দি আমায় ব’কে রসাতল করবে ! গদাধর হাসিয়া বলিলেন-দোহাই বৌ-ঠাকরুণ, তাকে আর যাই বলে বলবে-কিন্তু এই চা-খাওয়ানোর কথাটা যেন ককখনো তার কানে না যায়, দেখো । তাহ’লে তোমার একদিন-আমারও ७नि ! 8ዓ