পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

usefTð শরীরে খাটিবার শক্তি যথেষ্ট । উভয়-তরফের মধ্যে র্তাহারই অবস্থা ভালো । আশপাশের গ্রাম হইতে সুবিধা দরে পাট কিনিয়া, মারোয়াড়ী মহাজনদের নিকট বেচিয়া হাতে বেশ দু’পয়সা করিয়াছেন। এই গ্রামেরই বাহিরের মাঠে তঁহার টিনের চালাওয়ালা প্ৰকাণ্ড আড়ত। গ্রামের বাহিরে মাঠে আড়ত করিবার হেতু এই যে, আড়াতটি যে-স্থানে, সেটি দুটি বড় রাস্তার সংযোগস্থল। একটি চুয়াডাঙ্গ যাইবার ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ডের বড় রাস্তা, অপরটি লোকাল বোর্ডের কঁচা রাস্তা, সেটি বাণপুর হইতে কৃষ্ণনগর পর্য্যন্ত গিয়াছে। চুয়াডাঙ্গা ও কৃষ্ণনগরগামী পাটের গাড়ী এখান দিয়াই যায়-পথের মধ্যে গাড়ী ধরিয়া পাট নামাইয়া লইবেন-এই উদ্দেশ্যেই এই উভয়রাস্তার সংযোগস্থলে আড়ত-ঘর তৈরী। গদাধর বসু বৎসরে বিস্তুর পয়সা রোজগার করেন।--অর্থাৎ কলিকাতার হিসাবে বিস্তর না হইলেও, পাড়ার্গার হিসাবে দেখিতে গেলে, বৎসরে পাঁচ-ছ' হাজার টাকা নিউ মুনাফা সিন্দুকজাত করার সৌভাগ্য যাহার ঘটে-প্ৰতিবেশি-মহলে সে ঈর্ষার ও সম্রামের

  • ją |

গদাধরের প্রকাণ্ড পৈতৃক বাড়ী বট-অশ্বথ গাছ গজাইয়া, খিলান ফাটিয়া, কানিশ ভাঙিয়া নষ্ট হইয়া গিয়াছে’-সেকালের অনেক জানালা-দরজায় চাচের বেড়া বঁাধিয়া আবরু রক্ষা করিবার বন্দোবস্ত। তবু সেই বাড়ীতেই গদাধর পুত্র-পরিবার লইয়া চিরকাল বাস করিয়া আসিতেছেন। টাকা হাতে s