পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাশগুপতি মন আকুলি-বিকুলি করিতেছিল-এত-বড় মুখরোচক ও জমকালো ধরণের একটা গল্প- অথচ কেন সেদিন সে-কথা স্ত্রীর কাছে বলিতে পারিলেন না ? কি ছিল ইহার মধ্যে ? সেদিন হয়তো কিছুই ছিলনা, কিংবা হয়তো ছিল। গদাধর ভালো বুঝিতে পারিতেন না ! অনঙ্গ বলিল-আজ কি শোবে, না, খাতা পত্র নিয়ে বসে থাকবে ? রাত কটা, খেয়াল আছে ? গদাধর হঠাৎ অনঙ্গর দিকে পূর্ণদৃষ্টিতে চাহিলেন- অনঙ্গও মেয়েমানুষ-দেখিতেও মন্দ নয়-কিন্তু কি ঠিকাই ঠকিয়াছেন এতদিন । সত্যিকার মেয়ে বলিতে যা বোঝায়, তা তিনি এতদিন দেখেন নাই। আজই অন্যত্র তাহা দেখিয়া আসিলেন এইমাত্র। বলিলেন- এই যাই । —আজি তো খেলেও না কিছু ! শরীর ভালো আছে তো ? অনঙ্গ সুকণ্ঠী নয়। গলার স্বর আরও মোলায়েম হইলেও ক্ষতি ছিলনা। মেয়েদের কণ্ঠস্বর মিষ্ট হইলেই ভালো মানায়-কিন্তু সব জিনিসের মধ্যেই আসল আছে, আবার মেকিও আছে । মশারি গুজিতে-গুজিতে অনঙ্গ বলিল-আজ কোথাও গিয়েছিলে নাকি ? রাত ক’রে ফিরলে যে । —হঁ্যা, ওই বায়োস্কোপ দেখে এলুম। কিনা! ዓ ቆዕ