দম্পতি ভড়ামশায়কে লইয়া গদাধর চলিয়া গেলেন। বিভিন্ন মোকামে ঘুরিয়া সমস্ত পাটের জোগাড় করিতে সারাদিন লাগিয়া গেল। ফিরিবার পথে একবার গ্রামের বাড়ীতে গেলেন। ব্যবসায়-সংক্রান্ত কিছু খাতা পত্র এখানে পূবের ঘরের আলমারীতে ছিল। ক-মাস দেশ-ছাড়া-ইহার মধ্যেই বাড়ীর উঠানে চিড়চিড়ে ও আমরুল গাছের জঙ্গল বঁাধিয়া গিয়াছে, ছাদের কার্নিসে বনমুলার চারা দেখা দিয়াছে, ঘরের মধ্যে চামচিকার দল বাসা বঁধিয়াছে। গ্রামের একটি বেষ্টমের মেয়েকে মাঝে-মাঝে ঘােড়-বাড়ী দেখিতে ও বঁট দিয়া পরিষ্কার রাখিতে বলিয়াছিলেন-প্ৰতি মাসে দুটি করিয়া টাকা এজন্য সে পাইবে, এ-ব্যবস্থা ছিল- অথচ দেখা যাইতেছে সে কিছুই করে नरे । ভড়ামশায় বলিলেন-সে বিন্দি বোষ্টমি তো একবারও ইন্দিকে আসেনি বলে মনে হচ্চে বাবু, তাকে একবার ডেকে পাঠাই। এই ও-মাসেও তার টাকা মণিঅর্ডার ক’রে পাঠানো হয়েছে! ধৰ্ম্ম আর নেই দেখচি কলিকালে ! পয়সা নিবি অথচ কাজ করবি নে ! সন্ধান লইয়া জানা গেল, বিন্দি বোফ্ট মি আজ ক-দিন হইল ভিনগায়ে তাহার মেয়ের বাড়ী গিয়েছে। পাশের বাড়ীর সিধু ভট্টাচাৰ্য্যর মেয়ে হৈম আসিয়া বলিল-মা বলে পাঠালেন, আপনি किं ५*न् ।। 65 ।। ? -এই যে হৈন মা, ভালো আছে ? তোমাদের বাড়ীর সব ভালো ? | ८९न ? lን” ©
