পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া শ্ৰীমতীর ভাব ফুটাইবার চেষ্টায় ছিলেন হার মানিয়া পালাইয়াছেন সে জন্য আমাদের সকলের গুরু তাকে তিরস্কারও করিয়াছিলেন। এ যুগে মা হইতে জানিলেই জীবন সার্থক হইল। তুমি আমার আদরিণী উমা হয়ে বাস মা । এই বলিয়া বাবাজী কমলাকান্তের সেই পুরাতন গানটি ধরিলেন আদর করে হৃদে রাখ ठात्रिी शुभ भक । তুমি দেখ আর আমি দেখি আর যেন কেউ নাহি দেখে ॥ যে গানের সুর দরিয়ার শ্লাঘা ছিল, তেমনই চাচাছোলা পাপীয়ার কণ্ঠরবকে । সপ্তমে চড়াইয়া বাবাজী এই গানটি করিলেন। দরিয়া বিস্ময়ে বিশ্বন্ধারিত নেত্ৰ হইয়া বুদ্ধ পুরুষের কণ্ঠে, ব্ৰহ্মচারিণী কিশোরীর বামা কণ্ঠের অপূর্ব খেলা শুনিয়া যেন চিত্ৰাপিতের ন্যায় বসিয়া রহিল । বাবাজী অমনি সেই ছবিটি দেখিয়া হাত বাড়াইয়া বেহাগের তানে গান ধরিলেন কে রে মনমোহিনী ঐ খেয়াল ভাঙ্গা গান যত রকম ওস্তাদি তাহাতে দেখাইতে হয় আলাপে ও মুৰ্চনায় সকল ওস্তাদী (দখাইয়া ও ফুটাইয়া বাবাজী এই গানটি শুনাইলেন । বিজয় ও দরিয়া দুই জনেই অবাক হইয়া রহিলা, দরিয়ার দর্পচূৰ্ণ হইল । সে বাবাজীর চরণ ধরিয়া বলিল, ঠাকুর আমার অনেক অপরাধ হইয়াছে ক্ষমা কর । আমি দিগম্বরী হইয়া ভিক্ষা করিতে বাহির হইয়াও এত জৰ্পদ হই নাই। আমি কি গান করিব ঠাকুর তুমি যাহা বলিবে যাহা শুনাহঁধে আমি তাহারই অনুকরণ করব । দাসীকে চরণে রাখিও আমি তোমার দাদা হইয়া রহিলাম। R G