পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া আসিল । সবাই যেন এক ছাঁচে ঢাল, এক রকমের এক আকারের। কেবল বঁর্ণবৈষম্যই আছে ; কেহ বা তুহীন ধরণ কেহ বা রক্তাভ, কেহ বা পীতাভ কেহ বা শ্যাম বর্ণ। তাহারা সবাই আসিয়া হুলাহুলী করিল, আহারের জন্য আন্দার করিয়া হাবাসীকে টানিয়া লইয়া গেল, হাসিমুখে হাবাসী উঠিয়া গেল এবং কিছুক্ষণ পরে ফিরিয়া আসিল। বিজয় জিজ্ঞাসা করিল কি দেখছ দরিয়া ? দরিয়া বলিল, যাহা দেখি নাই । সে পালটা জিজ্ঞাসা করিল কি দেখছি বিজয় ? বিজয় বলিল, যাহা ভাবি নাই । কল্পনার স্বপ্নের অতীত যাহা তাহাই দেখিতেছি। ধন্য আমি যে এমনটি দেখিলাম এবং এমন নারীর পতি বলিয়া পরিচিত হইয়াছি। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । ঘরকন্ন । সুকুমার কাশীতেই ঘরকন্ন আরম্ভ করিয়া দিয়াছে। চৌষট্টি যোগিণীর ঘাটের উপর একটি বাড়া লইয়াছে, সেই বাড়ীতেই সুকুমারী নন্দকে লইয়া বাস করেন, তবে গৃহস্থের পোষাক তিনি পরেন নাই, তিনি যেমন গৈারকধারী সুকুমারীও তেমনি গৈায়কধারিণী । নন্দও কাষীয় ছাড়া অন্য *िळू পরে না । বাবাজার একজন শিষ্য তাহদের সঙ্গে থাকে দেখে শুনে চৌকী দেয়। সুকুমার রাত্রিদিন সকাল সন্ধ্যা স্বামী বিশুদ্ধানন্দের কাছে। যাইয়া বেদান্ত পড়িতে আরম্ভ করিরাছেন । তদগত চিত্তে তন্ময় হইয়া শাস্ত্ৰপাঠ করিয়া থাকেন এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে নন্দ কি করিতেছে, কি শিখিতেছে \OV)