পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wfoi তাহারও খবর লইয়া থাকেন। সে সময়ে কাশীতে সামান্য টাকা হইলেই সুখে দিন চলিত, সুকুমারের তিন চারি শত টাকা মাসিক আয় ছিল, -ইচ্ছা! করিলে সে বাবুয়ানা করিয়া দিন কাটাইতে পারিত কিন্তু কুড়ি পাঁচশ টাকার মধ্যে সুকুমারীর গৃহিণীপনার গুণে সংসার যাত্রা সুখে অতিবাহিত হইত, বাকি টাকা সঞ্চয়ই হইতেছিল। একদিন দ্বিপ্রহরে সুকুমার বসিয়া আছেন, সুকুমারী একটা রুদ্রাক্ষের মালা গাঁথিতে গাঁথিতে মাথা হেট করিয়া বলিলেন, “হ্যা গা, দাদার আর বৌ এর খবর কিছু রাখি, হনুমানদাস বলছিল তারা নাকি কাশীতে আসবে।” সুকুমার। না । কোনও খবরই ত পাইনি, রাখিওনি। কখনই বা রাখি, স্বামিজী অন্য চিন্তার অবসরই দেন না । একদিকে বিশুদ্ধানন্দ অন্য দিকে রামানন্দ, দুই দিকে দুইটা সিংহ শাদুলি, আর আমি বাঙ্গালী বাবু, পাঠ নিচ্ছি বেদান্তের। কাজেই মাথা চুলকাইবার অবসর পর্য্যন্ত পাই না। সুকুমারী। অত সব ছাই ভস্ম শিখেই বা কি কচ্ছ ? এম, এ, বি, এল, হলে উকিল হলে, বিলাতে গেলে, ইয়োরোপের তিনটে বড় ভাষা শিখলে তারপর এখানে এসে কেঁচে গঙুষ করে সংস্কৃত শিখলে, শেষে বেদান্ত পাঠ কচ্ছ। বয়স ত চারের কোটায় এসে পৌছিল, এত লেখাপড়া শিখে ঘোড়ার ডিম হবে কি ? সুকুমার । এম, এ, বি, এল, হয়েছিলাম উকিল হব, পয়সা রোজগার কৰ্ব্বো সেই সাধে, সে সাধি কতকটা মিটিয়াছিল। মায়ের আর তোমারও সে সাধ কতকটা মিটাইয়াছিলাম। তারপর সাহেব হব তোমাকে বিবি বানাব। এই সাধে বিলেত গিয়েছিলাম, বিধাতার চক্রে পড়ে জাহাজ ডুবি হলাম, ইয়ারোপের বিপ্লববাদের আবর্তে পড়লাম, সেই নিহিলিষ্ট মােগীর, ᏚᏭᎸ