পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া করে তার আদর্শ দেখাব ৷ তোমার মত পত্নী যার-শক্তি তাহার, ভাবনা কি আছে তার। কিছু নাই। এই সার সত্যটি যদি দৃঢ় করে হৃদয়ে ধরতে পার তা হলে তোমার কল্যাণ হবে । এই কথা কয়টি উচ্চারণ করিয়া স্বামী রামানন্দ সেইখানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং সুকুমারীর দিকে তাকাইয়া বলিলেন, মা আজি তোমার কাছে আমার একটা ভিক্ষা আছে। এইবার নন্দকে কিছু দিনের জন্য হৃষিকেশে বা দেবপ্রয়াগে পাঠাইতে হইবে। তাহাকে বেদ পড়াইতে হইবে। কাশীর বেদপাঠের পদ্ধতিতে অনেক ভ্ৰমপ্ৰমাদ ঢুকিয়াছে তাই নন্দকে বড় আড়ায় পাঠাইয়া দিতে চাই। কি বল ? সুকুমার। নন্দ কি একা থাকতে পারবে ? নইলে আপনি যখন বলছেন তাতে আর আপত্তি কি ? স্বামিজী । নন্দ তার মামীর কাছে থাকবে গো । এক বৎসর থেকে কেবল বেদ পাঠের পদ্ধতিটা শিখে আসবে। সুকুমারী। আর আমরা কোথায় থাকবো । আমরাও সঙ্গে যাই না কেন ? আমার পক্ষে যেখানে নন্দ সেই খানেই কাশী । স্বামীজি। তা মন্দ পরামর্শ নয়। তবে ভাবনা সে শীত তোমরা সইতে পারবে ? সুকুমারী। তা বেশ পারবো। হাবাসী পারে আর আমি পারবো না ? সুকুমার। বাপ বেটা দুজনেই তা ছাত্র বিদ্যার্থী, আমিও না হয় নন্দের সঙ্গে নন্দ হয়ে কিছু শিখে আসি। অনুমতি করেন ত কৃতাৰ্থ হই । স্বামীজি কিঞ্চিৎ চিন্তা করিয়া বলিলেন, তবে তাই হইবে। এই বৈশাখী পূর্ণিমার পরই তোমরা যাইবে। ইতিমধ্যে সকল জোগাড় যন্ত্র করিয়া রােখ। Sv)