পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া হায় রূপ! তুমি কখনও খেলা খেল, কখনও বা নিথর গভীর জলের মত কেবল অতল তলে তলাইয়া যাও, তুমি কখনও বিকাশ কখনও বা সঙ্কোচতোমায় ত চিনিতে পারিলাম না । বাল্যলীলায় তোমার এক প্রকার, যৌবনে অন্য প্রকার, আর বাদ্ধক্যে অনন্তের তটে দাড়াইয়া তোমার আর এক প্ৰকার । তুমি কোথাও বা উত্তাল তরঙ্গভঙ্গময় তটিনীর কল্লোলকোলাহলময় কোথাও বা নীল আকাশের নিস্তব্ধ সৌন্দৰ্য্যের ন্যায় অজ্ঞেয় ठ१११ '8 ड53 । ( ৩ ) সুকুমার কলিকাতায় আসিয়া নিয়মিত ব্যারিষ্টারীর ব্যবসায় চালাইতে ছিলেন, যাহা উপাৰ্জন করিতেন তাহার দ্বারায় কলিকাতার সংসার চলিত এবং কিছু কাশীতে সুকুমারীর নিকট পঠাইয়া দিতেন। কলিকাতায় দরিয়া সুকুমারের গৃহকত্রী হইয়াছিলেন। দরিয়া খুব মিতব্যয়ী ঘরাণী ছিলেন, গৃহস্থলীর ব্যবস্থা বন্দোবস্ত সুদুর করিয়াছিলেন, সে পক্ষে সুকুমারের অনুযোগ অভিযোগের কোন ও অবকাশই ছিল না । সুকুমারের গুঃখ, দরিয়া কাছে আসে না, কাছে বসিয়া দণ্ড কথা কহে না, মাঝে মাঝে এক এক বার পারাবতের মত দরিয়া সুকুমারের সম্মুখে আসিয়া রূপ ছড়াইয়া নাচিয়া নাচিয়া গান করিয়া আবার চলিয়া যায়-ধরা দেয় না, ইহাষ্ট সুকুমারের বড় দুঃখ । শিক্ষার গুণে দরিয়া খাঁটি বাঙ্গালীর মেয়ের মতনই হইয়াছিল বটে। কিন্তু মরুকান্তারের বালিকার যে উড়ু, উড়ু, ভাৰ তাঙ্গা দরিয়া এবেলবারে ছাড়িতে পারে নাই । ঐ দিন সন্ধ্যার সময় কোট হইতে ফিরিয়া আসিবার পর সুকুমার A