পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া ঠেলিয়া খুলিয়া ভিতরে যাইলেন এবং দ্বারের সম্মুখেই থাপ করিয়া মেজের উপর বসিয়া পড়িলেন এবং পরিষ্কার বাঙ্গলা ভাষায় বলিলেন, দেখা তোর ছেলে আমার কোলে দে । আমার নাতী ত বটে, আজ একবার ভাল করে দেখি । ধাত্রী তাহার ক্ৰোড়ের উপর শিশুকে শুয়াইয়া দিল এবং ধীরে ধীরে কক্ষদ্বার বন্ধ করিয়া স্বয়ং বাহিরে গেল। এমন মানুষ সেত কখনও । দেখে নাই । সে ঘরের বাহিরে গিয়া বিজয়কে বলিল, চল আমরা সরে যাই স্বয়ং বিধাতা পুরুষ ছেলের মাথায় কি লিখে দেবার জন্য এসেছেন। বিজয় কথা শুনিয়া একটু হাসিলেন এবং সরিয়া গেলেন। দরিয়া সবিস্ময়ে সেনুমীর মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, একি রূপ তোমার এ যে সেনুমী ও বাবাজী দুজনে মিলে এক চেহারা করেছ। সেনুমী। দূর খোপী ! তোর বাবাজী যে মণিপুরের শ্মশানে দেহত্যাগ করেছেন। আমি তোর সেই মিশরীবাবা । দরিয়া । এইবার বল দেখি আমি কে আর তুমিই বা কে ? সেনুমী । তুমি কে তার একটু পরিচয় আজ দিব বলিয়াই আসিয়াছি। তুমি ব্ৰাহ্মণ কন্যা গুজরাটের এক ব্ৰাহ্মণ দম্পতীর কন্যা। আমি তোমাকে ছয় মাসের মেয়েটি কুড়াইয়া পাইয়া ছিলাম, তোমার গর্ভধারিনী যখন দেহত্যাগ করেন তখন তিনি বলেন এই মেয়ে যদি বাঁচে। আর তার পেটে যদি ছেলে হয় তাহা হইলে ছয়দিনের দিন সেই ছেলেকে এই তাবিজ বা মাদুলী এই মুক্তার মালা পরাইয়া দিয়া এস। ইহাতেই আমাদের পরিচয় আছে। আর ইহাই আমার দৌহিত্র বংশকে রক্ষা করিবে। এই বলিয়া সেনুমী নিজের ঝুলীর ভিতর হইতে এক অপূর্ব হামুলী ও মুক্তার মালা বাহির করিলেন। তেমন চুনী পান্না খচিত অপূর্ব ক্ষুদ্র হামুলী দরিয়া - \e(t