আগামী মাসে প্ৰকাশিত হইবে শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্ৰনাথ পাল প্ৰণীত সুবৃহৎ বৈচিত্ৰ্যময় উপন্যাস ड्ब्बांब्ौड्>भंत्रांप्त । দরিদ্রের বিশ্বজনীন হাহাকার, বুভুক্ষের আর্তনাদ সমাজ চিরদিনই উপেক্ষার চক্ষে দেখিয়া আসিতেছে। মানুষের সংস্কার এতই প্ৰবল, যে, মুহূৰ্ত্তের ভুলেও যে নারী পদস্বলিত হইয়াছে-প্রবৃত্তি তার যত উচ্চষ্ট হউক না কেন-চিরকালই তাহার জীবনটা অকৰ্ম্মণ্য করিয়া রাখিতে হইবে-ইহাই হইল সমাজের আদেশ । দেখিলে দুঃখ হয়, কত জীবনই না। শুধু একটু সহানুভূতির অভাবে নিম্বফল হইয়া যাইতেছে। তাই স্বৰ্গীয় দয়া ও ভ্রাতৃভাব মূৰ্ত্তিমতী হইয়া যখন চোর দরিদ্র ভবানীপ্ৰসাদের ভিতরকার মানুষটাকে জাগাইয়া তুলিলা তখন ধন, ঐশ্বৰ্য্য, মান সন্ত্রম, সব একদিকে ভাসিয়া গেল, সমাজ সংস্কার পািড়য়া রহিল, কৰ্ত্তব্যকেই সে বড় কািরয়া কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইল। দয়া ও মমতা আসিয়া যখন ভবানাপ্ৰসাদের মত পাষণ্ডের মনুষ্যত্বকেও উদজীবিত কৰিয়া তুলিয়াছিল তখন দ্বন্দ্ব বাধিল তাহার ভিতরকার পশুত্ব ও মনুষ্যত্বের মধ্যে। একদিকে মান, : সন্ত্রম, প্ৰতিপত্তি, মেহ, ভালবাসা, আর একদিকে কৰ্ত্তব্যের মৰ্য্যাদার জন্য চির-নির্বাসন । আমাদের দেশ দরিদ্র, আমাদের সমাজ উদাসীন, তাই মনে হয় “ভবানীপ্ৰসাদের’ মত উপন্যাস, ঘরে ঘরে প্রচারিত হওয়া দরকার । বাঙ্গালার বর্তমান সর্বশ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক R » ; i தள் শ্ৰীযুক্ত শরৎচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায় প্ৰণীত বামুণের মেয়ে। (যন্ত্রন্থ)
