পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fast পারিলেন না। কারণ দরিয়া যে চুড়ান্ত কথা কহিয়াছে কতক্ষণ পরে? द्वेिक्षा डांवां विड व्यकि দিদি রূপ হইল নামের বেদীর উপর প্রাণের দান। যতদিন নাম না। বুঝিব ততদিন রূপ যৌবন লইয়া কন্দুকক্রীড়া করিব ইহাই সহজ ধৰ্ম্ম। প্রাণের খেলা লইয়াই ত সহজ ধৰ্ম্মের সৃষ্টি। আমি বৈষ্ণবী-আমরা বধুয়া আন ঘরে যায় আমারই আঙ্গিনা দিয়া,-এ আমি সহস্থা করিতে পারিব না। আমি সোজা সাদা কথা তোমায় বলিব। আমার কৰ্ত্তব্য কি তাহাও আমি স্থির করিয়াছি । কৰ্ত্তব্য,--যাঃ পলায়তি স জীবতি । সুকুমারী। বেশ তাই হবে। কিন্তু যাকে লইয়া এত গোলমাল - চলিতেছে তাকে নাড়াচাড়া করিয়া দেখিবে না । যিনি পুরুষ, যিনি নামের আধার একবার তাহার দিকে তাকাইবে না ? তিনি আসুন তাহাকে সকল । কথা আমি বলিব, না হয় তুমিই বল। তাহার পর তিনি কি বলেন শুনিয়া, শেষে যাহা ভাল হয় তাহ করা যাইবে । দরিয়া। দূর খ্যাপা মাগী ! যাহা মেয়ে মানুষের কাছে বলা চলে তাহা কি পুরুষকে বলা যায় ? পুরুষের সহিত চোখে চোখে ভাষা চালাইতে । হয়। তাহাদিগকে কোনও কথা খুলিয়া বলিতে নাই। আমি যাহা বলিৰ বা তুমি যাহা বলিবে তাহা কি তিনি জানেন না ? জানেন সব। যখন। জানেন তখন ধরা দিই কেন ? জানা শুনার পরও তোমার উপর সেই দৃষ্টি। আর কি কোনও কথা বলিতে आर्छ । সুকুমারী মাথা হেঁট করিয়া রহিলেন। ব্যাতিবিক্ষুব্ধ কহলারের মত মুখ হেঁট করিয়া-রক্তিমাভ মুখখানিকে কবরীর কৃষ্ণভায় যেন ঢাকিবারচেষ্টা করিয়া অবনতমুখী হইয়া রহিলেন।