পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wife কেহ বা আপাদমস্তক বস্ত্ৰাবৃত করিয়া মড়ার ন্যায় পড়িয়া আছে, কেহ বা উচু হইয়া বসিয়া, দুই হাঁটুর মধ্যে মাথাটি গুজিয়া নীরবে জপ করিতেছে, আর কেহ বা বৈষ্ণবীকে পাশ্বে বসাইয়া খঞ্জুনী বাজাইয়া নামগান করিতেছে। বাবাজী সকলের তত্ত্বাবধায়ক । বাবাজী নিজেও সুগায়ক এবং ভাবুক । এই গ্রামেরই একটু দূরে মধুকাণের বাড়ি, মধু মাঝে মাঝে বাবাজীর আড়ায় আসে তখন - খুব গান চলে, বাহির হইতেই দেখিলেই মনে হয়, স্বরূপদাসের আস্তানা আনন্দের নিকেতন, মাধবীলতাবিতান আছে, মালঞ্চ আছে, শেফালীর সারি আছে। চারিটি বকুল গাছও চারিদিক রক্ষা করিয়া রহিয়াছে। আর এই পুষ্প বৃক্ষ সকলের লতা মণ্ডপ সকলের চারি পার্থে যেন আকিয়া বাকিয়া শৃঙ্খলাকৃতি ভাবে ছোট ছোট খড়ের ঘর, বেতের বেড়া দিয়া তৈয়ারী, আর প্ৰত্যেক ঘরেই বৈষ্ণব বৈষ্ণবীর স্থান । গ্রামের অনেকেই বলেন স্বরূপদাসের আস্তানায় কখন কত বৈষ্ণব বৈষ্ণবী থাকে তাহ কেহ বলিতে পারে না, উহা যেন গোলকধাঁধা । স্বরূপদাস হাসিয়া বলিতেন, দূর পাগল আমার আস্তানা গোলকধাঁধা নয়, গোলকধাম । স্বরূপদাসের আর একটা গুণ ছিল, তাহার গোটা কয়েক “সদ্ধাই” ছিল তাহার উপর তিনি সুচিকিৎসক ছিলেন, অনেক জড়িবুটি জানিতেন। অনেক গাছ গাছড়া চিনিতেন ইহার জন্য স্বরূপদাসের ঐ তল্লাটে খুব সুনাম ও প্রসার প্রতিপত্তি "হিল। তবে স্বরূপদাসের একটা বড় পণ ছিল তিনি রোগ আরাম করিতে পারিলেই রোগীকে বৈষ্ণব বানাইয়া দিতেন আর ব্রাহ্মণের চিকিৎসা কখনও করিতেন না। এই সকল নানা কারণে স্বরূপদাসের আস্তান যশোর জেলার দক্ষিণ অঞ্চলে VOyd