ইন্দু অতিশয় রুক্ষস্বরে বলিল, তোমার বাবা কি পৃথিবীশুদ্ধ লোকের কাছে দেনা করে গেছেন ? এ শোধ করবে কে ? তুমি কি করে করবে শুনি ? এতগুলো প্রশ্নের এক নিশ্বাসে জবাব দেওয়া যায় না । ইন্দু নিজেও সে জন্য অপেক্ষা করিয়া রহিল না-তৎক্ষণাৎ কহিল, বেশ ত, তোমার বাবা না হয়। হঠাৎ মারা গেছেন, কিন্তু তুমি তা হঠাৎ বিয়ে করনি ? BDBLLBDB SKSDBD BBB SLDBDBBDB T BD S DDD DDD SS DBDBLLSBD গোপন করাও ত কৰ্ত্তব্য হয়নি। লোকের মুখে শুনি, তুমি ভারী ধর্মভীরু লোক, বলি, এ-সব বুঝি তোমার ধৰ্ম্মশাস্ত্রে লেখে না ? বলিয়া ঠিক যেন সে যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া স্বামীর মুখপানে চাহিয়া রহিল। " কিন্তু হায় রে, এতগুলো সুতীক্ষ্ম বাণ যাহার উপর এমন নিষ্ঠুরভাবে বষিত হইল, ভগবান তাহাকে কি নিরস্ত্ৰ, কি নিরুপায় করিয়াই সংসারে পাঠাইয়াছিলেন ! কাহাকেও কোন কারণেই প্ৰতিঘাত করিবার সাধ্যটুকুও তাহার ছিল না, শুধু সাধ্য ছিল সহ্য করিবার। আঘাতের সমস্ত বেদনাই নিজের মধ্যে পাক খাইয়া, অত্যন্ত্র সময়ের মধ্যে স্তব্ধ হইয়। যাইত ; কিন্তু সেই স্বল্প সময়টুকু আজ তাহার মিলিল না। শম্ভৰ বাবুর অত্যু গ্ৰ কথার জ্বালা কণামাত্র শান্ত হইবার পূবে ই ইন্দু তাহাতে এমন ভীষণ তীব্ৰ জ্বালা সংযোগ করিয়া দিল যে, তাহারই অসহ্যু দহনে আজ সে ও ০-তু্যত্তরে একটা কঠোর কথাই বলিতে উদ্যত হইয়া উঠিল, কিন্তু শেষ রক্ষা করিতে পারিল না । অক্ষমের নিস্ফল আড়ম্বর মাথা তুলিয়াই ফাটিয়া ভাঙ্গিয়া পড়িল। শুধু ক্ষীণস্বরে বলিল, বাবার সম্বন্ধে তোমার কি এমন করে বলা উচিত ? না-উচিত নয়-কিন্তু আমার উচিত-অনুচিতের কথা তোমাকে মীমাংসা করে দিতে ত বলিনি ! কেন তোমাদের সমস্ত ব্যাপার বাবাকে খুলে বলনি ? আমি কিছুই গোপন করিনি। ইন্দু। তা ছাড়া, তিনি বাবার বাল্যবন্ধু ছিলেন, নিজেই সমস্ত জানতেন । Σ Σ
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১
অবয়ব