পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরশু-দুপুরবেলা ! তাই এত তাড়াতাড়ি আজ সন্ধ্যাবেলায় দেখা দিতে এসেচ ? না ভাই বীে, টানটা একটু কম করো। ইন্দু ঘাড় নাড়িয়া কহিল, চিঠি লিখে জবাব পৰ্য্যন্ত পাই নে। আমি এক আর কত টানব ঠাকুরঝি ? বিমলা আশ্চৰ্য্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, জবাব পাওনি ? সে না পাওয়াই। চার পাতার জবাব চার ছত্র ত ? বিমলা অপ্ৰতিভ হইয়া বলিল, তখন এতটুকু সময় ছিল না ভাই । এ ঘরে দাদা যদি বা একটু সারলেন, ওদিকে আমার নতুন ভাড়াটে श2 या ! ইন্দু কথাটার একবণও বুঝিল না, হাঁ করিয়া রহিল। বিমলা সে দিকে মনোযোগ না করিয়া বলিতে লাগিল, সেই মঙ্গলবারটা আমাদের চিরকাল মনে থাকবে । সাতদিনের দিন খবর পেয়ে দাদাকে নিয়ে এলুম, তার দু'দিন পরে দাদার বুকের ব্যথার যেমন বাড়াবাড়ি, অম্বিকাবাবুর অসুখটাও তেমনি বেড়ে উঠল-- তোমাকে বলব কি বেী, সেঁক দিতে দিতে আর ফোমেন্ট করতে করতে বাড়িশুদ্ধ লোকের হাতের চামড় উঠে গেল - সারা দিন-রাত কারু নাওয়া-খাওয়া পৰ্য্যন্ত হ’লে না হঁ, সতী-সাধবী বলি ওই অম্বিকাবাবুর স্ত্রীকে । ছেলেমানুষ বৌ কিন্তু কি যত্ন, কি স্বামী-সেবা তার পুণ্যেই এ-যাত্ৰা তিনি রক্ষে পেয়ে গেলেন-নইলে ডাক্তার-বিদ্ব্যির माक्षु; छिठल ना । অম্বিকাবাবু কে ? কি জানি, ঘাটালের কাছে কোথায় বাড়ি। চিকিৎসার জন্য এখানে এসে আমাদের ঐ পাশের বাড়িটা নিয়েছেন । লোকজন নেই, পয়সা কড়িও নেই,--শুধু বৌটি ইন্দু মাঝখানেই প্রশ্ন করিল, তোমার দাদার বুঝি খুব বেড়েছিল ? বিমলা ওষ্ঠাধর কুঞ্চিত করিয়া কহিল, সে-রাতে আমার তা সত্যিই ভয় হয়েছিল। ঐ তাকের ওপর ওষুধের খালি শিশিগুলো চেয়ে S