পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখ না-তিনজন ডাক্তার-আর, আচ্ছা, বেী, দাদা বুঝি এ-সব কথা তোমাকে চিঠিতে লেখেনি। ইন্দু অন্যমনস্কের মত কহিল, না । বিমলা জিজ্ঞাসা করিল, এখানে এসে বুঝি শুনলে ? ইন্দু, তেমনিভাবে জবাব দিল, হঁ্যা। বিমলা বলিতে লাগিল, আমি ত তোমাকে প্ৰথম দিনেই টেলিগ্রাম করতে চেয়েছিলুম। মাত্র দু-তিন ঘণ্টার পথ স্বচ্ছন্দে আসতে পারতে, কিন্তু দাদা কিছুতেই দিলেন না। হাসিয়া কহিল, কি যে তাকে তুমি করেচ, তা তুমিই জান বীে, পাছে অসুস্থ শরীরে তুমি ব্যস্ত হও, এই ভয়ে কোনমতেই খবর দিতে চাইলেন না। যাক-ঈশ্বরোিচ্ছায় ভাল হয়ে গেছে - নইলে নইলে তার কি হ’তো ঠাকুরঝি ? অসুখ সারতেও আমাকে দরকার হয়নি, না। সারলেও হয়ত দরকার হ’তো না । বলিয়া ইন্দু উঠিয়া গিয়া, ঔষধের শূন্য এবং অৰ্দ্ধশূন্য শিশিগুলো নাড়িয়া-চাড়িয়া লেবেলের লেখা পড়িয়া দেখিতে লাগিল । DD S DD BDD DS S BBBD DBD DB BuS iDB BBBBD তাহার দুই চোখ অশ্রুতে ঝাপসা হইয়া গেল। কেন, সে কি কেহ নয় যে, এতবড় একটা কাণ্ড হইয়া গেল, অথচ তাহাকে জানানো পৰ্যন্ত হইল না । সে নিজের এমন কি পীড়ার কথা লিখিয়াছিল যাহাতে সংবাদ দেওয়াটাও কেহ উচিত মনে করিলেন না ! তিনি ভাল হইয়াও ত কতকগুলো পত্রে কত কথা লিখলেন, শুধু নিজের কথাটাই বলিতে ভুলিলেন ? বেশ, এখানে আসিয়াও ত তিন দিন হইল, তবু কি মনে পড়িল না ? ইন্দুর তীব্ৰ অভিমানের সুর বিমলা টের পাইয়াছিল। ফিরিয়া আসিয়া বলিল, শিশিবোতল নাড়াচাড়া করে আর কি হবে বেী, ওরা কখনও মিথ্যে সাক্ষী দেবে না, যতই জেরা কর না ! এসো, তোমার 5। 6ी'Sश्। श्4भूg5 !