বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীর এই অত্যন্ত কটু ইঙ্গিতে নরেন্দ্র খাতাটার উপর পুনৰ্বার কুকিয়া পড়িয়া, কয়েক মুহুর্ত মৌন থাকিয়া মৃদুকণ্ঠে বলিল, বিমলা এসে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি শুনতে পেলে বলে দিতাম, অক্ষমদের জন্য হাসপাতাল সৃষ্টি হয়েচে । পরের ঘাড়ে না চড়ে সেইখানে যাওয়াই তাদের উচিত । নরেন্দ্র আর মুখ তুলিল না - একটি কথাও কহিল না। ইন্দু টান মারিয়া পৰ্দাটা সরাইয়া বাহির হইয়া গেল। ধাক্কা লাগিয়া একটা ক্ষুদ্র টিপাই ফুলদানি-সমেত উল্টাইয়া পড়িল ; সে फिब्रिग्रा9 5ाश्व्नि ना ! মিনিট-পাঁচেক পরে, তেমনি সজোরে পর্দা সরাইয়া ফিরিয়া আসিয়া কহিল, ঠাকুরঝি খবর দিতে চেয়েছিলেন, তুমি মানা করেছিলে কি জন্যে ? ভেবেছিলে বুঝি আমি এসে ওষুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দেব ? নরেন্দ্ৰ মুখ না তুলিয়াই বলিল, না, তা ভাবিনি। তোমার শরীর उछाक्ष छिन्न मi-- ভালই ছিল। যদিও খবর পেয়েও আমি আসতুম না, সে নিশ্চয় কিন্তু আমি সেখানে যে রোগে মরে যাচ্ছিলাম, এ-কথাও তোমাকে চিঠিতে লিখিনি ! অনৰ্থক কতকগুলো মিথ্যে কথা বলে ঠাকুরবিকে নিষেধ করার হেতু ছিল না । বলিয়। সে যেমন করিয়া আসিয়াছিল। তেমনি করিয়া চলিয়া গেল ! নরেন্দ্র তেমনি করিয়া খাতাটার পানে কুকিয়া রহিল, কিন্তু সমস্ত লেখা তাহার লেপিয়া মুছিয়া চােখেব সম্মুখে একাকার হইয়া গেল । ইন্দু পর্দার অন্তরাল হইতে বাহির হইয়া ডাক্তারকে কহিল, আপনিই গগনবাবুর বাড়িতে আমার স্বামীর চিকিৎসা করেছিলেন ? বুড়া ডাক্তার চোখ তুলিয়া ইন্দুর উদ্বেগ-মলিন মুখখানির পানে চাহিয়া ঘাড় নাড়িয়া সায় দিলেন। ইন্দ্ৰ কহিল, কিন্তু সম্পূৰ্ণ আরোগ্য হয়েছেন বলে আমার মনে হয় ২৬