পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই কথার এই জবাব । BDDBD DBDB DDD DDDB BBSBDD BBzS DDBDBB ঘাট হয়েছে, তোমার ঘরে ঢুকেছিলাম। দ্বারের কাছে আসিয়া হঠাৎ দাড়াইয়া বলিল, নিজের প্রাণটা নষ্ট করে আমাকে শাস্তি দিতে পারবে না। এই চিঠিখানা পড়ে দেখ, বাবা আমাকে দশ হাজার টাকা। উইল করে দিয়েছেন । বলিয়া বঁটা হাতে চিঠিটা সোফার দিকে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিয়া বাহির হইয়া আসিয়া দাড়াইল। তারপর মুখে আঁচল গুজিয়া কান্না চাপিতে চাপিতে নিজের ঘরে ঢুকিয়া দ্বার বন্ধ করিয়া শুইয়া পড়িল । কথা সহিতে, হার মানিতে সে শিখে নাই- অনেক নারীই শিখে না-তাই আজ তাহার সমস্ত সাধু-সংকল্পই ব্যর্থ হইয়া গেল। সে কি করিতে গিয়া কি করিয়া ফিরিয়া আসিল । ও কি ঠাকুরবি,-তোমরা কঁাদছিলে নাকি ? চোখ-দুটি তোমাদের যে জবাফুল হয়েছে ! অম্বিকাবাবুর স্ত্রী শুনিতেছিলেন এবং বিমলা উপুড় হইয়া বই পড়িতেছিল ; ধড়মড় করিয়া উঠিয়া বসিয়া চোখ মুছিয়া হাসিল,-উঃ { দুর্গামণির দুঃখে বুক ফেটে যায় বৌ! ইন্দু জিজ্ঞাসা করিল, কে দুর্গামণি ? ন্যাক সেজো না বেী। জানো না, কে দুর্গামণি ? চারিদিকে যে এত সুখ্যাতি বেরিয়েচে, তা ঠিক বটে। ইন্দু আর কিছুই বুঝিল না, শুধু বুঝিল একখানা বইয়ের কথা হইতেছে। হাত বাড়াইয়া কহিল, দেখি বইটা । হাতে লইয়া উপরে দেখিল গ্ৰন্থকার-তাহার স্বামীর নাম লেখা ! পাতা উল্টাইতেই চোখে পড়িল উৎসর্গ করা হইয়াছে বিমলাকে । ইন্দু বইখানা আগা-গোড়া নাড়িয়া চড়িয়া রাখিয়া দিল । লেখা হইয়াছে, وچا