ছাপা হইয়াছে, দেওয়া হইয়াছে - অথচ সে তাহার বিন্দু-বিসর্গও জানে না। তাহার মুখের চেহারা দেখিয়া বিমলা আর একটা প্রশ্ন করিতেও সাহস করিল না, তখন ইন্দু নিজেই বলিল, আমার নাটক-নভেল পড়তে ইচ্ছেও করে না, ভালও লাগে না । যা হোক, ভাল হয়েচে শুনে সুখী হলুম অম্বিকাবাবুর চাকর আসিয়া তাহার স্ত্রীকে লক্ষ্য করিয়া কহিল, বাবু জিজ্ঞাসা কচ্চেন, আজ তার যে যাদুঘর দেখতে যাবার কথা ছিল যাবেন ? এই বধূট সকলের চেয়ে ছোট ; সে লজ্জা পাইয়া ঘাড় হেঁট করিয়া মৃদুস্বরে কহিল, না, তঁর শরীর এখনো তেমন সারেনি-আজি যেতে ॐgद नi । চাকর চলিয়া গেল, ইন্দু হা করিয়া চাহিয়া রহিল। তাহার মনে হইল, এমন আশ্চৰ্য কথা সে জীবনে শোনে নাই । ভোলা আসিয়া বিমলাকে জিজ্ঞাসা করিল, বাবু অফিস থেকে জানতে লোক পাঠিয়েছেন-একটা বড় আলমারি-দেরাজ নীলাম হচ্ছে। বড় ঘরের জন্য কেনা হবে কি ? বিমলা কহিল, না, কিনতে মানা করে দে। একটা ছোট বুককেস হলেই ও-ঘরের হবে । ভোলা চলিয়া গেল। ইন্দু মহাবিস্ময়ে অবাক হইয়া বসিয়া রহিল। এই স্বামীদের প্রশ্নগুলোতেও সে বেশি প্ৰভুত্ব দেখিতে পাইল না, ইহাদের স্ত্রী-দুটির আদেশগুলোও তাহার কাছে ঠিক দাসীদের মত শুনাইল না । অথচ, তাহার নিজের মনের মধ্যে কেমন যেন একটা ব্যথা বাজিতে লাগিল । কেবলই মনে হইতে লাগিল, কি করিয়া যেন ইহাদের কাছে সে একেবারে ছোট হইয়া গিয়াছে। যাইবার সময় বিমলা চুপি চুপি জিজ্ঞাসা করিল, বেী, সত্যিই কি তুমি দাদার এই বইটার কথা জানতে না ? ইন্দু তাচ্ছিল্যের সহিত কহিল, না। আমার ওজন্য মাথাব্যথা WebeA
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৭
অবয়ব