পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে না । সারাদিন বসেই ত লিখচে-কে অত খোজ করে বল ? ভাল কথা ঠাকুরবি, কাল বাপের বাড়ি যাচ্ছি। বিমলা উদ্বিগ্ন হইয়া হইয়া কহিল, বৌ, যেয়ে না। �ai ? কেন সে কি বুঝিয়ে বলতে হবে বৌ ? দাদা তোমাকে তঁর দুঃখের সুখের কোন ভারই দেন না।--তাও কি চোখে দেখতে পাও না ? স্বামীর ভালবাসা হারাচ্চ-তাও কি টের পাও না ? ইন্দু হঠাৎ রুষ্ট হইয়া বলিল, অনেকবার বলেচি তোমাকে, আমি চাই নৌ-চাই নৌ-চাই নে । আমি দাদার ওখানে নিশ্চিন্ত হয়ে থাকব ; ইনি যেন আর আমাকে আনতে না যান-আর যেন আমাকে उद्भ\टेन् ।। 35 ।। এবার বিমলাও ত্রুদ্ধ হইয়া উঠিল। কহিল, এ-সব বড়াই পুরুষমানুষের কাছে কোরো বৌ, আমি ত মেয়েমানুষ, আমার কাছে কোরো না । তোমার বাপের বড়লোক, তোমার সংস্থান তারা করে দিয়েচেন -এই ত তোমার অহঙ্কার ? আচ্ছা, এখন যাচ্ছে যাও ; কিন্তু একদিন হুশি হবে, যা হারালে তার তুলনায় সমস্ত পৃথিবীটাও ছোট। বৌ, যা তুমি পেয়েছিলে, কম মেয়েমানুষেই তা পায়-সে জানি, কিন্তু যে অপব্যয় তুমি করলে, তাতে অক্ষয়ও ক্ষয়ে শেষ হয়ে যায়। বোধ করি গেলও তাই । সেই বইখানা বিমলার হাতেই ছিল। তাহার প্রতি দৃষ্টি পড়ায় ইন্দুর বুকের ভেতরটা আর একবার হুহু করিয়া উঠিল। বলিল, অহঙ্কার করবার থাকলেই লোকে করে। কিন্তু, আমার সর্বনাশ হয় হবে, যায় যাবে, সেজন্যে ঠাকুরঝি, তুমিই বা মাথা গরম কর কেন, আমিই বা যা-তা দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুনি কেন ? আমার থাকতে ইচ্ছে নেই,-থাকিব না । এতে যা হয় তা হবে-কারু পরামর্শ নিতেও চাই নে, ঝগড়া করতেও চাই নে । বিমলা মৌন হইয়া রহিল। তাহার ব্যথা অন্তৰ্যামী জানিলেন, কিন্তু এ-অপমানের পরে আর সে তর্ক করিল না । میخ