না। শুধু কমলাকে সুমুখ থেকে নামিয়ে দিয়ে এসেচি। শুধু তার खप्छट्रे आना-नछेटल स्थांमफूभ ना । বিমলা নিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিল, না এলেই ভাল করতে বেৰী । ওখানে তোমার আর গিয়েও কাজ নেই। ইন্দুর বুকের ভিতরটা ধড়াসা করিয়া উঠিল-কেন ঠাকুরবি ? বিমলা সহজ গম্ভীরভাবে কহিল, পরে শুনো। কাপড় ছাড়ো, মুখহাত ধোও-যা হবার সে তা হয়েই গেছে-এখন, আজ শুনলেও যা,” দু’দিন পরে শুনলেও তাই। ইন্দু বসিয়া পড়িল। তাস্থার সমস্ত মুখ নীলবৰ্ণ হইয়া গেল, বলিল, সে হবে না ঠাকুরবি, না শুনে আমি একবিন্দু জলও মুখে দেব না। তঁাকে দেখতে পেয়েচি, তিনি বেঁচে আছেন—তবু সেখানে আমার গিয়ে কােজ নেই কেন ? বিমলা খানিক থামিয়া, দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিল, সত্যিই ও বাড়িতে তোমার জায়গা নেই। এখন তোমার পক্ষে এখানেও যা, বাপের বাড়িতেও তাই। ও-বাড়িতে তুমি থাকতে পারবে না । ইন্দু কান্না চাপিয়া বলিয়া উঠিল, আমি আর সইতে পারি নে ঠাকুরবি, কি হয়েছে খুলে বল। বিয়ে করেচেন ? বিশ্বাস হয় ? না । কিছুতেই না । আমার অপরাধ যত বড়ই হোক, কিন্তু তিনি অন্যায় কিছুতেই করতে পারেন না। তবুও কেন আমার ঠার পাশে স্থান নেই, বলবে না ? বলিতে বলিতে তাহার দুই চোখ বাহিয়া ঝরঝর করিয়া জল পড়িতে লাগিল । বিমলার নিজের চক্ষু ও আদ্র হইয়া উঠিল, কিন্তু অশ্রু ঝরিল না । বলিল, বৌ, আমি ভেবে পাই নে, কি করে তোমাকে বোঝােব, সেখানে আর তোমার স্থান নেই। শস্তুবাবু দাদাকে জেলে দিয়েছিল। ইন্দুর সর্বাঙ্গ। কঁাটা দিয়া উঠিল—তার পরে ? বিমলা বলিল, আমরা তখন কাশীতে, শম্ভ বাবু টাকা যোগাড় করবার দু'দিন সময় দেয় । কিন্তু চার হাজার টাকা যোগাড় হয়ে ওঠে 8 Y
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১
অবয়ব