যজ্ঞদত্ত বন্ধুকে লইয়া মেয়ে দেখিতে ঘরে ঢুকিলেন । মেয়ে কাপোটের আসনের উপর বসিয়া, পরনে দেশী কাপড়, কিন্তু অনেক ধোপপড়া সূতাগুলা মাঝে মাঝে জালের মত হইয়া গিয়াছে। হাতে বেলোয়ারি চুড়ি এবং একজোড়া পাক দেওয়া তামার মত রংয়ের সোনার বালামাঝে মাঝে এক এক জায়গায় ভিতরের গালাটা দেখা যাইতেছে। মাথায় এত তেল যে কপালটা পৰ্যন্ত চকচক করিতেছে, ব্ৰহ্মতালুর উপর শক্ত খোপাটা কাঠের মত উচু হইয়া আছে। দুই বন্ধুতে মুখ টিপিয়া হাসিয়া ফেলিলেন । হাসি চাপিয়া মেয়েটির দিকে চাহিয়া যজ্ঞদত্ত কহিল, কি নাম তোমার ? মেয়েটি বড় বড় কালো চােখ দুটাে শান্তভাবে তাহার মুখের প্রতি রাখিয়া কহিল, প্রতুল। যজ্ঞদত্ত বন্ধুর গা টিপিয়া মৃদু হাসিয়া কহিল, ওহে, গদাধর নয় তা ? বন্ধু ঈষৎ ঠেলিয়া দিয়া কহিল, জ্যাঠামি করে না, তাড়াতাড়ি পছন্দ করে নাও । হঁ, এই নিই বেশ-বেশ, কি পড় ? किछू ना । আরো ভালো { কাজ-কর্ম করতে জান ? প্রতুল মাথা নাড়িল-নিকটে একজন ঝি দাড়াইয়াছিল, সে ব্যাখ্যা করিয়া ছিল --ভারী কর্মী মেয়ে বাবু, রাধা-বাড়া সংসারের কাজ-কর্মে মায়ের হাত পেয়েচে । আর মুখে কথাটি নেই।--ভারী শান্ত । তা বুঝেছি। তোমার বাপ বেঁচে নেই ? କhi ! भ9 भद्ध 65iध्न ? 8 研年一8
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৯
অবয়ব