যজ্ঞদত্ত দেখিল, এই হাবা মেয়েটার চোখে জল আসিয়া পড়িয়াছে তোমার কি কেউ নেই ? ন। } আমার বাড়ি যাবে ? সে ঘাড় নাড়িল, হু। এই সময় জানালার দিকে নজর পড়ায় সে দেখিল খড়খাঁড়ির ফাক দিয়া দুটো কালো চোখ যেন অগ্নিবর্ষণ করিতেছে, ভয় পাইয়া সে বলিল, না । বাহিরে আসিয়া মিত্তির মহাশয়ের সাক্ষাৎলাভ। কেমন দেখলেন ? বেশ ! বিবাহের তবে দিন স্থির হোক । 6श्ॉक । বার-তের বৎসরের বালকের হাত হইতে কোন নির্দয় রসহীন অভিভাবক তাহার অর্ধ-পঠিত কৌতুকপূৰ্ণ নভেলটা টানিয়া লুকাইয়া রাখিয়া দিলে তাহার যেমন অবস্থা হয়, ভিতরের প্রাণটা ব্যাকুলভাবে সেই শুল্কমুখ শঙ্কিত বালককে এ-ঘর ও-ঘর ছুটিাইয়া লইয়া বেড়ায়, ভয়ে ভয়ে তীব্র চক্ষু দুটি শুধু যেমন সেই প্রিয় পদার্থটিকে আবিষ্কার করিবার জন্য ব্যস্ত এবং বিরক্ত হইয়া থাকে, আর সর্বদাই যেন কাহার উপর রাগ করিতে ইচ্ছা করে, তেমনিভাবে সুরমা যজ্ঞদত্তের জন্য ছটফট করিতে লাগিল। কি যেন কি একটা খুজিয়া বাহির করিবে । চেয়ার, বেঞ্চ, শোফা, শয্যা, ঘর, বারান্দা - সুরমার উপরেই সে বিরক্ত হইয়া উঠিল । রাস্তার দিকের একটা জানালাও তাহার পছন্দ হইল না, একবার এটাতে, একবার ওটাতে বসিতে লাগিল ৷ যজ্ঞদত্ত ঘরে ঢুকিলেন ।
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫০
অবয়ব