যজ্ঞদত্ত দুই হাত বাড়াইয়া কহিল, অনেকদিন কাছে এস নাই 요 সুরমা একবার মুখপানে চাহিয়া দেখিল ; পরীক্ষণেই বলিয়া উঠিল, ঃ, আমি ত খুব । বৌকে একলা ফেলে এসেছি। বলিতে বলিতে সে ছুটিয়া পলাইয়া গেল। রাগের মাথায় যদি হঠাৎ কোন অপরিচিত ভদ্রলোকের গালে চড় মারা যায়, আর সে যদি শান্তভাবে ক্ষমা করিয়া চলিয়া যায়, তাহা হইলে মনটা যেমন খারাপ হইয়া থাকে, তেমনি ক্ষমাপ্ৰাপ্ত অপরাধীর মত তাহারও মনটা ক্ৰমাগত দমিয়া পড়িতে লাগিল। কেবলি মনে হয়, সে অপরাধ করিয়াছে আর সুরমা প্ৰাণপণে ক্ষমা করিতেছে । সুরমা সর্বাভরণা নববধুকে জোর করিয়া তাহার পার্শ্বে বসাইয়া দেয়। সন্ধ্যা হইলেই বাহির হইতে কটু করিয়া তালা বন্ধ করিয়া দেয়। গালে হাত দিয়া যজ্ঞদত্ত ভাবিতে থাকে। বৌও কতক বুঝিতে পারে ; সে সেয়ানা মেয়ে নয় ; তবুও ত সে নারী ; সাধারণ স্ত্রীবুদ্ধিটুকু হইতে ভগবান কাহাকেও বঞ্চিত করেন না । সেও সারা রাত্রি জাগিয়া থাকে। আজি আট দিনও বিবাহ হয় নাই, এরি মধ্যে যজ্ঞদত্ত একদিন প্ৰত্যুষে সুরমাকে ডাকিয়া কহিল, সুরো, বর্ধমানে পিসীমাকে বেী দেখিয়ে আনি । দামোদর-পারে পিসীমার বাড়ি। সেখানে পৌছাইয়া যজ্ঞদত্ত কহিল, পিসীমা, বৌ এনেচি, দেখ। পিসীমা । ওমা, বিয়ে করেছিস বুঝি, আহা বেঁচে থাক। দিব্যি চাদপান বৌ, এইবার মানুষের মত ঘর-সংসার করা। যজ্ঞ । সেই জন্যেই তা সুরো জোর করে বিয়ে দিলে। পিসীমা। সুরো বুঝি বিয়ে দিয়েচে ? যজ্ঞ । সেই তা দিলে, কিন্তু কপাল মন্দ-বেী নিয়ে ঘর করা 5rତି କମ୍ । পিসীমা । কেন রে ? むも
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৩
অবয়ব