যজ্ঞ। জানো ত পিসীমা, আমার নর-গণ বৌয়ের হ’ল রাক্ষসগণ। একসঙ্গে থাকলে গণৎকার বলে-বাচি না বঁচি । পিসীমা । ষাট ঘাট, সে কথা যজ্ঞ। তখন তাড়াতাড়ি এসব দেখা হয়নি, এখন ত তোমার কাছে থাকবে, মাসে পঞ্চাশ টাকা পাঠাব, তাতে চলবে না পিসীমা ? পিসীমা । হ্যা তা চলে যাবে। পাড়াগায়ে বিশেষ কষ্ট হবে না । আহা, চাঁদের মত মেয়ে, ডাগর হয়েছে, হারে যজ্ঞ, একটা-স্বস্ত্যয়ন করলে হয় না । যজ্ঞ । হতে পারে। আমি ভট্টাচার্যের মত নিয়ে যা ভাল হয়। gडiभाकि खां नांव । পিসীমা । তা জানাস বাছা । সন্ধ্যার সময় বৌকে কাছে ডাকিয়া যজ্ঞদত্ত কহিল, তবে তুমি এখানেই থাক । সে ঘাড় নাড়িয়া বলিল, আচ্ছা । যা তোমার দরকার হবে। আমাকে জানিয়ে } আচ্ছা । তুমি চিঠি লিখতে জান ? না । তবে কি করে জানাবে ? নববধূ গৃহপালিত হরিণীর মত চক্ষু দুইটি স্বামীর মুখের উপর রাখিয়া চুপ করিয়া রহিল। যজ্ঞদত্ত মুখ ফিরাইয়া চলিয়া গেল। পিসীমার বাটিতে বৌ ভোরে উঠিয়া কাজ করিতে লাগিল বসিয়া থাকিতে সে শিখে নাই, নূতন লোক হইলেও সে পরিচিতের মত ঘরকন্নার কাজ করিতে শুরু করিল। দুই-চার দিনেই পিসীমা বুঝিলেন, এমন মেয়ে সবাই গর্ভে ধরে না। বৌয়ের অনেক গহনা, পাড়াসুদ্ধ ঝোঁটিয়ে লোক তা দেখতে আসে । G 3
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪
অবয়ব