খেয়ে নাও, অনেক বেলা হল। যজ্ঞদত্ত বলে, হঁ। এই যাই, এমনি করিয়াও কিছুদিন কাটিল। একসঙ্গে ঘর করিতে গিয়া চিরদিন এভাবে চলে না, তাই আবার মিল হইতে লাগিল। যজ্ঞদত্ত আবার আদর করিয়া ডাকিতে লাগিলেন-ও ছায়াদেবী । ছায়া কিন্তু আর আলোমশাই বলে না-যজ্ঞদাদা বলে, কখনও বা শুধু দাদা বলিয়াই छोंक । সুরমা একদিন কহিল, দাদা, প্ৰায় তিনমাস হতে চলল, এইবার ৰৌকে আনো ! যজ্ঞদত্ত কাটাইয়া দেয়, হাঁ তা হবে এখন। মনের ভাব বুঝিয়া সুরমা চুপ করিয়া থাকে । পিসীর পত্র মাঝে মাঝে আসে। পিসী লেখেন, বৌয়ের ম্যালেরিয়া জ্বর হইতেছে, চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন। মনের ভাব বুঝিয়া যজ্ঞদত্ত কতকগুলো টাকা বেশী করিয়া পাঠাইয়া দেয়। আর মাস-খানেক কোন কথা উঠে না । এমন সময় একদিন হঠাৎ চিঠি আসিল যে, পিসী মরিয়া গিয়াছে । যজ্ঞদত্ত বর্ধমানে চলিয়া গেল। যাইবার সময় সুরমা মাথার দিব্য দিয়া বলিয়া দিল, বৌকে নিয়ে এস। বর্ধমানে পিসীর শ্ৰাদ্ধশান্তি হইয়া গেলে একদিন দুপুরবেলা যজ্ঞদত্ত বারান্দায় দাড়াইয়া বাড়ি যাইবার কথা ভাবিতেছিল। উঠানে একটা ধানের মরাইয়ের পাশে, নতুনবে দাড়াইয়া, চোখে পড়িল । চোখাচোখি হইবামাত্র সে হাত দিয়া ইশারা করিয়া ডাকিল । যজ্ঞদত্তও স্ত্রীর নিকটে পৌছিল । কি ? আপনাকে কিছু বলব। यs 5 दकन ! নতুন বৌ ঢোক গিলিয়া কহিল, একদিন আপনি বলেছিলেন যদি আমার কোন দরকার হয় যজ্ঞদত্ত। বেশ ত, কি দরকার বল ? á\ኃ
পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৬
অবয়ব